টাংগাইল -৩ আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার কথিত এক প্রেমিকা সন্ধান জানতে পেরে বাসায় ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে অত্যাচার সহ তার ব্যবহৃত মোবাইল এবং স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এমপি রানার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডিতে উল্লেখ করেন তাকে মারধোর সহ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সোনার অলংকার ছিনিয়ে নিয়েছেন তারা।
বিস্বস্ত সুত্রে জানা যায়, গত সংসদ নির্বাচনে টাংগাইল-৩ ঘাটাইল আসন থেকে রানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়। তার ঈগল মার্কার পক্ষে নির্বাচন করেন ঐ মহিলা। সেই সুবাদে তার সাথে একটা সম্পর্ক হয় তার। এমপি রানার সাথে তার অনৈতিক সম্পর্কের কারনেই তাকে রানার পরিবার নির্যাতন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শেরেবাংলানগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পরে পুলিশ মোবাইল ফোন ও ছিনতাই করা অলংকার উদ্ধার করেন। জিডিতে ঐ গৃহবধু বলেছেন গত ৩ রা মার্চ সকালে এমপি রানার মেয়ে জান্নাতুল তাবাসুভা খান রক্তিম ওই শেফালী কর্মকারকে ফোন করে, তার বাবার ন্যাম ফ্ল্যাটের বাসায় আসতে বলে। ফোন পেয়ে ঐ দিন রাত আটটার দিকে শেফালী কর্মকার তার স্বামীকে সাথে নিয়ে রানার ন্যাম ফ্ল্যাটের বাসায় আসেন। যাওয়ার পর এমপি রানার মেয়ে রক্তিম, সুমাইয়া, ছেলে ওমর ফারুক ও স্ত্রী ফরিদা ঐ নারীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরে শারিরীকভাবেও লাঞ্চিত ও নির্যাতন করেন। পরে শেফালী কর্মকারের স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।