কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলের মানগাফ শহরে একটি শ্রমিক আবাসনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪৩ জন।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার (১২ জুন) জানায়, আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মৃতদের মধ্যে ৪০ জন ভারতীয় আবাসন শ্রমিক বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এক বিবৃতিতে, কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ আগুনের কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার অঙ্গীকার করেছেন।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসেফ সৌদ আল-সাবাহ জানান, তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কুয়েত নিউজ অ্যাজেন্সিতে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে আল-সাবাহ বলেছেন, ‘আমরা শ্রমিকদের গাদাগাদি এবং অবহেলার বিষয়টি সমাধান করব।’
এই অগ্নিকাণ্ডের পর, স্থানীয় সিটি করপোরেশনকে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে আইন লঙ্ঘনকারী মালিকদের এসব ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রিয়েল এস্টেট মালিকদের নিয়ম লঙ্ঘন ও লোভকে দায়ী করেছেন।
কুয়েতের কর্মকর্তারা জানায়, ছয়তলা ভবনের একটি রান্নাঘরে আগুনের সূত্রপাত। ভবনটিতে প্রায় ১৬০ জন শ্রমিক বসবাস করতেন। তারা একই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।
দেশটির মেজর জেনারেল ইদ রাশেদ হামাদ জানান, ‘স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।’
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কমান্ডার জানান, ‘যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সেটি শ্রমিকদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেখানে অনেক শ্রমিক ছিল। কয়েক ডজন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত আগুনের ধোঁয়ার কারণে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।’
শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ধরন সম্পর্কে বিশদ বিবরণ না দিয়ে তিনি জানান, ‘একসঙ্গে অনেক শ্রমিক থাকার বিষয়টি নিয়ে আমরা সবসময়ই সতর্ক করি।’ সূত্র: আরব নিউজ/রয়টার্স