বাক্স বাদামের বৈজ্ঞানিক নাম নাম Sterculio Foetida. এই গাছটি নরম কাঠ যুক্ত গাছ। লম্বায় ১১০ থেকে ১১৫ ফুট হতে পারে। বাক্স বাদামকে জংলি বাদামও বলা হয়। এই গাছের গঠন অনেকটা শিমুল গাছের মতো হয়। পাতা করতালাকার যৌগিক।
বসন্তের শুরুতে এই গাছে ফুলের আগমন হয়। পুরুষ এবং স্ত্রী ফুল আলাদা গাছে হয়। ফুলের কোন পাপড়ি হয় না। ফুলের রং বৃন্ত লাল,হলুদ ও বেগুনি মেশানো হয়। ফলগুলো গুচ্ছ আকারে হয়। সব থেকে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে ফুল থেকে পরিণত ফল হতে এগারো মাস সময় লাগে। এই গাছে মার্চ মাসে ফুল হয় এবং ফেব্রুয়ারিতে ফল পাকে।
বাক্স বাদাম একটা গুচ্ছে পাঁচ থেকে কুড়িটি ফল হতে পারে। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে রক্তিম বর্ণ ধারণ করে। এই ফল কাচা অবস্থায় খাওয়া যায় না বললেই চলে। বাদাম গুলো ভেজে খেতে হয়। প্রতিটি বাদামের ভেতরে ১০ থেকে ২০টি খেজুরের মত বীজ হয়। যেই বীজ বাদাম হিসেবে খাওয়া হয়। এই গাছ ভারত, বাংলাদেশ, ইন্দোচিনা, ফিলিপাইন, তাইওয়ান,ইন্দোনেশিয়া,এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখতে পাওয়া যায়।
পুষ্টিগুণ
বাক্স বাদাম একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। এতে রয়েছে পটাসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন-এ, বি,সি,ক্যালসিয়াম,ফ্যাটি অ্যাসিড, সোডিয়াম, ওমেগা ৩ ইত্যাদি।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
সব ধরনের বাদামেই বহু উপকারিতা আছে, বাক্স বাদামও ব্যতিক্রমী নয়। জেনে নিন বাক্সদাদামের স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. বাদাম হৃৎপিণ্ড ও রক্তের ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়।
২. হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৩. চোখ, ত্বক, হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে।
৪. হজম প্রক্রিয়া মজবুত করে।
৫. মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৮. এছাড়া এই বাদাম থেকে এক ধরনের তেল তৈরি করা হয়।