আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ দল খেলবে ৮টি টেস্ট। যেই ব্যস্ত টেস্ট মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তান সফরের দুটি টেস্ট দিয়ে। সেই সিরিজের দল ঘোষণা করা হয়েছে গতকাল। যেখানে দলে রাখা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। যিনি কিনা এতদিন ব্যস্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। লাল বলের অনুশীলনে না থাকার পরেও সাকিবের দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে বেশকিছু কারণ দেখিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘কিছু ব্যতিক্রম খেলোয়াড় তো থাকে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে হলে বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে হবে। আমরা অনেককে এনওসি দিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত ভিসার কারণে সাইফউদ্দিন ও রিশাদ যেতে পারেনি। আর সব সময় আপনি সবাইকে অনুশীলনে পাবেন, সেটা সম্ভব হবে না। তাদের ব্যস্ততা ক্রিকেট নিয়েই ছিল।’
সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে দলে এসেও ভালোকিছু করতে পারেননি তিনি। এমনকি ফ্রাঞ্চাইজি লিগের কারণে সিলেট ও চট্টগ্রামে টেস্ট দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে হওয়া ক্যাম্পেও তিনি ছিলেন না।
এরপরও সাকিবের দলে থাকা নিয়ে গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘সে তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। পারফরম্যান্স দিয়ে সাকিব নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে, বিভিন্ন সংস্করণের ক্রিকেট, পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড…সবকিছু মিলিয়েই যাচ্ছে।’
সাকিব এবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সকল টেস্ট সিরিজ খেলার ব্যাপারে। চলতি বছর ৮ টেস্টের সবগুলোতেই তিনি খেলবেন। এমনটাই বলেছেন প্রধান নির্বাচক, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় তার কাছে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলাম। আমাদের অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ আছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত আটটা টেস্ট খেলব। সেখানে সে আমাদের আশ্বস্ত করেছে, সবগুলো টেস্ট খেলবে। প্রত্যেকটা সিরিজের আগে সব অনুশীলন সেশনে থাকবে।’
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে সবশেষ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন হতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাংসদদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে এবং বেশিরভাগ নেতাই এখনও পলাতক। সাকিবের নিরাপত্তা নিয়েও তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
সাকিবের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন এসেছে গাজী আশরাফ হোসেনের সামনে, ‘অনুশীলন সেশনে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়, কোচের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এটা অবশ্যই পরিস্থিতির আলোকে দেশকে নিশ্চিত করতেই হবে। কারণ, সাকিব আল হাসান নিশ্চিতভাবেই দেশের শীর্ষ খেলোয়াড়। এখানে নির্বাচনের (দলে রাখা) ক্ষেত্রে অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন। কারণ, সে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আমরা সেটা নিয়ে ভেবেছি। কিন্তু তার নির্বাচনটা হয়েছে মেধার ভিত্তিতে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই এটা হয়। আগামীতেও মেধাটাকেই গুরুত্ব দেব।’