ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা সাইম আইয়ুব বাংলাদেশের বিপক্ষে পেয়েছেন ফিফটি। বাঁহাতি এই ওপেনার পার্ট টাইম অফব্রেক বোলিংটাও করেন। অধিনায়ক শান মাসুদ তার হাতে বল তুলে দিয়ে হাতেনাতে ফল পেলেন। ক্রিজে নেমে ছন্দে থাকলেও অল্প সময়ের ভেতরেই আউট হলেন সাকিব আল হাসান। টাইগার অলরাউন্ডারকে মাঠ ছাড়া করে আইয়ুব প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ পেলেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাউয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানের জবাবে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২৮ রান। মুশফিকুর রহিম ২৩ ও লিটন দাস ৬ রানে অপরাজিত আছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিডনি টেস্টে সাইম আইয়ুবের টেস্ট অভিষেক হয়। ঐ ম্যাচে অবশ্য বল হাতে নেননি। সাত মাসেরও বেশি সময় পর নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেছেন। টেস্টে প্রথমবার বল হাতে নিয়ে নিজের চতুর্থ বলেই পেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের উইকেট।
১৬ বলে ২ চারে ১৫ রান করা সাকিব এক্সট্রা কভারে দাঁড়িয়ে থাকা শান মাসুদের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন। এতে সম্ভাবনাময় ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটে।
এর আগে বিনা উইকেটে ২৭ রান নিয়ে শুক্রবার টিম টাইগার্স তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল। ওপেনার জাকির হাসান ৫৮ বলে এক চারে ১২ রান করে পেসার নাসিম শাহর অফ স্টাম্পের বেশ বলে খোঁচা মেরে মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দি হন। বাঁ-দিকে অনেকটা ঝাপিয়ে পড়ে এক হাতে বল লুফে নেন পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক। ভেঙে যায় ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
সফরকারীদের ইনিংসের ২৭তম ওভারের শেষ বলটির লাইনই বুঝতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন শান্ত। গুড লেন্থের ডেলিভারিটি অফ স্ট্যাম্পের উপর মাটিতে পড়ে ভেতরে ঢুকে যায়। সামনে পা বাড়িয়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায় টাইগার অধিনায়ক খেলতে যান। তার ব্যাট ও প্যাডের মাঝে বিশাল ফাঁক থাকায় বল স্টাম্পে আঘাত হানলে ৪২ বলে ২ চারে ১৬ রানে তিনি সাজঘরে ফেরেন।
লাঞ্চের পর ফিফটি পাওয়া মুমিনুল ৭৬ বলে ৬ চারে ৫০ রান করে খুররামের বলে বোল্ড হন। তার ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল স্টাম্পে আঘাত করে। তাতে তৃতীয় উইকেটে ৯৪ রানের জুটির অবসান ঘটে।
সুন্দরভাবেই চা বিরতিতে যাওয়ার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল সফরকারীরা। মোহাম্মদ আলীর করা দ্বিতীয় সেশনের শেষ বলে ঘটে সর্বনাশ। ফুল লেন্থ ডেলিভারি সামনে পা এগিয়ে রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হন সাদমান ইসলাম । ব্যাট ও প্যাডের ভেতর দিয়ে বল মিডল স্টাম্পে আঘাত করে।রক্ষণাত্মক কৌশলে ঠাণ্ডা মেজাজে দারুণ ব্যাটিং করলেও সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন এই টাইগার ওপেনার। অল্পের জন্য পেলেন না ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট শতক। ১৮৩ বলে ১২ চারে ৯৩ রান করে ফিরে যান। তার আগে চতুর্থ উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ৫২ রান যোগ করেন।