গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ, তার নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগত জায়গা থেকে দুর্নীতি-দুঃশাসন, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ও প্রধান নির্দেশদাতা ছিলেন। এজন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এরপর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তাদের রাজনীতি থাকবে কি না। তবে বিচারপ্রক্রিয়ার আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল, তার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আকাঙ্খা, জঙ্গিবাদ, গণহারে মামলা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে কথা বলেন নাহিদ।
সরকারের উপদেষ্টা থেকে নিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে নাহিদ বলেন, ‘ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান করেছি এবং এই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকারকে বাস্তবায়নের জন্য আমরা সরকারে আছি। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কিন্তু একই আছে যে, আমরা এই ফ্যসিস্ট কাঠামোকে বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই– যেখানে সামাজিক ন্যায় বিচার ও গণতন্ত্র নিশ্চিত থাকবে।’
আন্দোলনে হতাহতদের তালিকার বিষয়ে করা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে যেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্যরা আছেন। তারা আহতদের নিয়ে কাজ করছে। শহীদদের নিয়েও কাজ করছে। এটা প্রায় শেষের দিকে এবং যে ফাউন্ডেশন, সেই ফাউন্ডেশনটিও এই তালিকার কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে।’
সংস্কারের বিষয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, আমরা সামগ্রিক সংস্কারের কথা ভাবছি। এটি আমরা অভ্যুত্থানের সময়েও বলেছি–একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই। সেক্ষেত্রে ১৫ বছরে বাংলাদেশের পুরো রাষ্ট্রীয় কাঠামোই কিন্তু পঁচে গেছে, ঘুণে ধরেছে। সেক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে যদি সব সেক্টরের সংস্কার করা সম্ভব না হয়, তাহলে আসলে সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যা সমাধানে সার্বিক যোগাযোগ রেখে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।