বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যাকারীদের বিচার এবং অপসারণ ছাড়া রাষ্ট্রের কোনো সংস্কার সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার দুপরের দিকে রাজধানীর দক্ষিণখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ জাহীদুজ্জামান তানভীরের স্মরণে আয়োজিত সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী আরো বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সারা দেশে প্রায় ২ হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকার। সেই আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও প্রশাসনে রয়েছে। যারা হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছে, তারাই ক্ষমতায় রয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন আওয়ামী লীগের দোসরদের বিভিন্ন পদ থেকে অপসারণে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, বারবার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ কর্তৃত্ববাদী হয়ে সবশেষে ছাত্র-জনতার জীবন নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। যাদের হাতে সাধারণ মানুষের রক্ত, তাদের বিচার আগে করতে হবে। তা না হলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রভুত্বের স্বভাব বাদ দিয়ে বন্ধু হিসেবে সকলের বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে হবে।
গোটা বিশ্ব হাসিনার ভোট বর্জন করলেও একমাত্র ভারত সাপোর্ট করেছে দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত। ভারত বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করে থাকলে আমাদেরও অধিকার আছে, দিল্লি নিয়ে কথা বলার।
ভারতের কাছে নত হয়ে থাকার দিন শেষ হয়ে আসছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কখনও নত হয়ে থাকবে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বানও জানান রিজভী।
এ সময় উক্ত সবাই আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।