নরসিংদীর মাধবদীতে জোরপূর্বক জমি দখলে নিতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জুলফিকার নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি ঘটেছে নুরালাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নওপাড়া গ্রামে।
জুলফিকার আলীর দেয়া মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১০৭ ধারার অভিযোগ এনে একই পরিবারের ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় রয়েছে ৭০ বছরের প্রবীণ ডাক্তার, একজন ব্যাংকারসহ ৫ জন সদস্য। তারা বলেন, সাজানো একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে জুলফিকার। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের দাবি জানাই।
সরেজমিনে, মামলার বাদী জুলফিকার আলীর বাড়িতে গেলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জুলফিকার আলী ও তার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থিত লোকজন, কিন্তু তার ছেলে নির্জন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র দাবি করে এলাকায় বেশ প্রভাব খাটিয়ে চলছে। বিভিন্ন জায়গায় হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।
কথা হয় জুলফিকারের চাচাত ভাবী রোজিনা আক্তার ও এলাকার মহিলা মেম্বার সেলিনা আক্তারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে। তারা জানান, ‘জমি নিয়ে বিরোধ শুনেছি, কিন্তু আমরা কোনো মারামারি দেখিনি। এটা সাজানো মামলা।’
মামলায় হয়রানির শিকার ডা. ফজলুল হক, ডা. সামসুল হক, শামিমুল হক শামিম, ও মো. সানিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ করে আসছে জুলফিকার ও তার পরিবার। এ বিষয়ে আদালতে সামসুল হক গং নরসিংদী জর্জ কোর্টে জুলফিকার আলী গংয়ের বিরুদ্ধে গত তারিখ ৩০-৬- ২০২৪ তারিখে জমির রেকর্ড সংশোধনের জন্য একটি সিভিল মামলা দায়ের করে। যার মামলা নম্বর ১৬৮। এতে ফজলুল হক ও ডা. সামসুল হক গংয়ের ওপর ক্ষেপে যান জুলফিকার। ক্ষিপ্ত হয়ে সামসুল হক গংয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে। আরো মামলা দেয়ারও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে জুলফিকারের মুঠোফোনে কল দিলে জানান, মামলা করা হয়েছে ঠিক আছে। তবে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় এখন কথা বলতে পারছি না, বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।