গার্মেন্টস শিল্পকে অস্থিতিশীল সহ গার্মেন্টস কর্মীদের দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের আপন ভাগিনা তৌফিক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কুচি সহ তার লোকজন।
গত ৫ই আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থান মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর একে একে পালিয়ে যান এমপি, মন্ত্রীসহ আওয়ামীলীগের বেশির ভাগ নেতাকর্মীরা। গত ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের দেয়া হত্যা মামলায় আসামি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রী সহ মহানগর, থানা, ওয়ার্ড এবং ইউনিট কমিটির নেতাকর্মীরা। দায়ের করা এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বেশ কয়েকজন এমপি, মন্ত্রী এবং ডিএনসিসির সাবেক মেয়র এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম সহ অনেক নেতাকর্মীরা । তবে সাবেক মেয়র ও সাবেক বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হলেও তার আপন ভাগিনা তৌফিক বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্পকে অস্থিতিশীল করতে সাবেক বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান কোচির সহযোগিতায় গার্মেন্টস শিল্পকে আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলছেন, পোশাক খাতেকে ধ্বংস করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসে বর্তমান অন্তরভর্তীকালিন সরকারকে বিপাকে ফেলতে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত পোশাক শিল্পকে অস্থিতিশীল করছে। আর সেই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে এবং বেশ কয়েকটি মহলকে উসকানি দিচ্ছেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতা ও নানা ইসুতে আন্দোলন করাতে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাবেক বিজিএমইএ সভাপতি আতিক কে। কিন্তু আতিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হওয়ার পর দায়িত্ব পালন করছেন তার আপন ভাগিনা তৌফিক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।
জানাগেছে শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে পোশাক শ্রমিক নেতাদের মাঝে বড় অংকের টাকা ডোনেট সহ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজিএমইএ এর সবেক সভাপতি আতিকুল ইসলামের ভাগিনা তৌফিক।
পোশাক শিল্পের অস্থিরতা বন্ধ করতে ও পোশাক শিল্পে কাজের পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা করা নজরদারি করলেও থেমে নেই গার্মেন্টস শিল্পের নৈরাজ্যের ছক।