ভারতের বিধানসভা নির্বাচনেও ইস্যু বাংলাদেশের দেশত্যাগী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের সমস্যা নিয়ে ঝাড়খণ্ডের শাসকদল জেএমএমকে দোষ দিয়েছে বিজেপি। পাল্টা জবাবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের প্রশ্ন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া হলো কেন?
রবিবার (৩ নভেম্বর) ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করে বিজেপি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ইস্তেহার প্রকাশের সময় ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে সরব হন। অনুপ্রবেশকারীরা এসে আদিবাসী মেয়েদের ভুল বুঝিয়ে, লোভ দেখিয়ে বিয়ে করছে এবং জমি দখল করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শাসক দল অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও দাবি করেন অমিত শাহ।
অমিত শাহের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ জেএমএম নেতা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। প্রশ্ন করেছেন, ‘কীসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে অবতরণ করতে এবং আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো। বিজেপির কী ভিতরে ভিতরে বাংলাদেশের সাথে কোনও অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া হয়েছে?’
হেমন্ত সোরেন আরও বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো দিয়েই বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ঘটে। সীমান্ত পাহারা দেওয়া কি কেন্দ্রের কাজ। এখানে রাজ্যের কোনও হাত নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনে দুই দফায় বিধানসভা ভোট হবে। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ২৩ নভেম্বর। এই নির্বাচন নিয়েই এবার সরব বিজেপি ও স্থানীয় রাজনৈতিক দল জেএমএম।