আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতাকে আর্থিক সহযোগিতা এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ আয়োজন করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
মঈন খান বলেন, ‘এ আন্দোলনের প্রথম ধাপ অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ। আর দ্বিতীয় ধাপ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। যা এখনও আমরা অর্জন করতে পারিনি। বিএনপি বিশ্বাস করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেটি সম্পন্ন হলে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দল যখন দেশের দায়িত্ব নেবে তখন আমাদের আন্দোলনের সফলতা পাব।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগষ্টের পর জনগণ বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।’
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তাদের মধ্যে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে। ভবিষ্যতেও যেন তাদের মুখোশ উন্মোচন থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসররা যেন এ সরকারকে কবজা করতে না পারে। তারা যেন মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে এজন্য মুক্তিকামী ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিরোধ করতে হবে।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আগুনে শুধু স্বৈরাচাররা পরাজিত হয়নি। তারা কাপুরুষের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলেনে হাজার-হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে, বহু মানুষ পঙ্গু হয়েছে। ৭১ সালেও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও আওয়ামী লীগ কাপুরুষের মতো পালিয়ে গিয়েছিল। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।’
মঈন খান বলেন, ‘গত ১৫ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বন্দুকের জোরে ১৮ কোটি মানুষকে বন্দি করে রেখছিল। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো লড়াই সংগ্রাম করেছে। অনেক নেতা-কর্মী প্রাণ দিয়েছেন। এক লাখের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী, কোনো জুলুমবাজ-অন্যায়কারী ক্ষমতায় বেশিদিন টিকতে পারে না। সবশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার পতনের মধ্যে দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে।’
এ সময় আহত রোগীদের খবর নেওয়াসহ ৫১ জন আহত রোগীকে আর্থিক সহায়তা দেন তিনি।
বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবার এ সময় আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম প্রমুখ।