
উত্তরা ১ নং সেক্টর এলাকা পানির সংকটের সমাধান করতে বিমানবন্দরে সিভিল অ্যাভিয়েশন অব্যবহৃত জায়গায় ওয়াসার পাম্প স্থাপন করছেন ওয়াসার নিজস্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল।
কাজ শুরু করার পর থেকে মাত্র দুই মাসে প্রায় ১ হাজার ফিট গভীর খনন করে ওয়াসা পাম্প বসানোর কাজ করেছেন বিটিসিএল।
জানা যায়, রাজধানী জুড়ে ঢাকা ওয়াসার মোট ৮০০টিরও বেশি পাম্প রয়েছে। এবং নতুন করে ১০০ টিরও বেশি পাম্পের কাজ চলমান রয়েছে। ওয়াসার এই পাম্প গুলো তৈরির কাজ করছে ওয়াসার নিজস্ব ১০/১১টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পানির সংকটের পর থেকে পাম্প বসানোর জন্য ওয়াসা জায়গা নির্ধারন করা শুরু করেন। পরে ১ নং সেক্টর এলাকার কল্যান সমিতির উদ্যোগে জসিম উদ্দিন রোড পাকার মাথায় সিভিল অ্যাভিয়েশনের খালি জায়গায় গত নভেম্বর মাসের ২৩ তারিখে ওয়াসা কর্তৃক পাম্প স্থাপনের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল। পাম্পটি মাত্র দুই মাসে বোরিং এর কাজ শেষ করে বর্তমানে গভীর নলকোপে বসানো হচ্ছে ফিল্ডার।
পাম্প বসানোর স্থানটি সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ৭-৮ জন শ্রমিক, টেকনিশিয়ান পাম্পটি গভীরতম করার কাজে নিয়োজিত আছেন। বিভিন্ন আকৃতির পাইপ মেশিনের সাহায্যে পাম্পের গভীরে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন তারা। এছাড়া, বোরিং করানোর জন্য বিভিন্ন মেশিন এখানে রাখা আছে। তবে, দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলমান থাকায় এই এলাকার কিছু কিছু স্থানে পানির সংকট রয়ে গেছে। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, পাম্পটি গভীরতম করার কাজ শেষ হলে এই এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় আর পানির সংকট থাকবে না।
সেখানে দায়িত্বরত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ইন্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম বলেন, অনেক গভীরে পাইপ দিয়ে পাম্পটি রেডি করা হচ্ছে। এর কাজ শেষ হতে প্রায় ৯০ দিন অর্থাৎ তিন মাস সময় লাগে কিন্তু আমরা জনবল বারিয়ে মাত্র দুই মাসে প্রায় এক হাজার ফিট গভীর খনন করেছি এখন শুধু ফিল্ডার বসানোর কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন, আমরা কাজে কোন বিলম্ব করছি না। নগরবাসীর পানি সংকটের কথা মাথায় রেখে আমরা দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নলকোপ খনন করার কাজটি অনেক সময়ের এবং পরিশ্রমের। তাই কাজের ধীরগতির কথা বলা যাবে না। আমরা সবাই মিলে দ্রুত এবং মানসম্পন্নভাবে কাজটি করার চেষ্টা করছি। আর নগরবাসি যেন এই পাম্পটি থেকে ভালো পানি পায় তার জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানের নিজেদের তৈরি ফিল্ডার স্থাপন করছি। আমাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানের ফিল্ডার ব্যবহার করার কারনে আমরা দ্রুত কাজটি হ্যান্ডওভার করতে পারবো।
এর আগে এই ফিল্ডার আনতে হতো পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে এখন আমাদের প্রতিষ্ঠানের ফিল্টার তৈরি করার কারনে অনেক সময় বেচে যাচ্ছে। আমাদের এই ফিল্ডার ঢাকা ওয়াসা থেকে পরিক্ষিত।
এই পাম্প সংলগ্ন একজন ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ বলেন,
মাত্র দুই মাসে চোখের পলকে ১ হাজার ফিট বোরিং এর কাজ করলেন তারা তা আসলেই অকল্পনীয়। আর যে ভাবে কাজ করছেন তাতে করে মনে হচ্ছে আগামী ১০ বছরে এই পাম্পে হাত দিতে হবে না।