পৃথিবীতে ক্যান্সার এমন একটি রোগ যার নির্ধারিত কোনো চিকিৎসা নেই। এই রোগ নানা কারণেই হতে পারে। তবে জানলে অবাক হবেন যে, ক্যানসারের হতে পারে আপনার রান্নাঘর থেকেই। পিএফএএস, মাইক্রোপ্লাস্টিক, বিপিএ – এ ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থেকে ক্যান্সার হতে পারে যা রান্নার পাত্র, সংরক্ষণ বাক্স ও রান্নার নানা উপকরণে পাওয়া যায়।
বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এ ধরনের উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে তা ক্যানসার, হরমোনজনিত সমস্যা, কিডনি রোগ এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। রান্নাঘর থেকে এসব ক্ষতিকর উপাদান দূর করতে কিছু সহজ পরিবর্তন আনলেই ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এখানে তিনটি কার্যকর পদক্ষেপ দেয়া হলো, যা আপনি এখনই নিতে পারেন।
প্লাস্টিক বাদ দিন এবং নিরাপদ উপাদান বেছে নিন: রান্নাঘরের চারপাশে প্লাস্টিক পণ্যের আধিক্য চোখে পড়ে—স্প্যাচুলা, চামচ, সংরক্ষণ বাক্স, পানির বোতল, এমনকি কফি মেকারও প্লাস্টিকের তৈরি হতে পারে। কিন্তু প্লাস্টিক থেকে নির্গত হওয়া বিপিএ এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবারের সঙ্গে মিশতে পারে, বিশেষত যখন এটি গরম খাবারের সংস্পর্শে আসে।
নিরাপদ বিকল্প হিসেবে কাঠ, বোরোসিলিকেট গ্লাস, স্টেইনলেস স্টিল বা উচ্চমানের সিলিকন ব্যবহার করুন। স্টেইনলেস স্টিলের চামচ, কাঠের স্প্যাচুলা ও গ্লাসের সংরক্ষণ বাক্স বেছে নিলে রান্নার সময় রাসায়নিক দূষণের ঝুঁকি কমে যাবে।
সঠিক রান্নার পাত্র ব্যবহার: অনেক জনপ্রিয় নন-স্টিক প্যান এবং সিরামিক ও এনামেল কাস্ট আয়রন পাত্রে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকতে পারে। বিশেষত নন-স্টিক প্যানে ব্যবহৃত পিএফএএস শরীরে জমা হয়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করতে পারে। নিরাপদ বিকল্প হিসেবে স্টেইনলেস স্টিল, কাস্ট আয়রন বা উচ্চমানের গ্লাসের পাত্র ব্যবহার করা ভালো। কাস্ট আয়রন প্যান প্রাকৃতিকভাবে নন-স্টিক হয়ে ওঠে, তাই এটি নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ী বিকল্প হতে পারে। এছাড়া, বাজারে এমন কিছু ব্র্যান্ড পাওয়া যায় যারা ক্ষতিকর রাসায়নিকবিহীন রান্নার পাত্র তৈরি করে থাকে।
কাঠের কাটিং বোর্ড ব্যবহার: প্লাস্টিকের কাটিং বোর্ড ব্যবহারের ফলে মাইক্রোপ্লাস্টিক খাদ্যের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এ সমস্যা এড়াতে কাঠের কাটিং বোর্ড ব্যবহার করুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, একক টুকরো কাঠের তৈরি বোর্ড বেছে নিতে হবে, যাতে কোনো ধরনের বিষাক্ত আঠা বা ফরমালডিহাইড না থাকে।