রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় বিলাসবহুল গাড়ি থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ইয়াবাসহ চার মাদককারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার ও ইয়াবার চালানটি জব্দ করা হয়। এটাই ঢাকা মহানগর এলকায় জব্দ হওয়া ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালান বলে জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার মো. নজরুল ইসলাম ওরফে সোহেল রানা। শেরপুরের নলিতাবাড়ী উপজেলার মো. আল মামুন (৩২) এবং চট্টগ্রামের খুলশী থানার মোহাম্মদ ফারুক ওরফে ওমর ফারুক (৪৬) ও তার স্ত্রী তানিয়া (৩২)।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, প্রায় ৩ মাস আগে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, একটি সংঘবদ্ধ মাদককারবারী চক্র বায়িং হাউজ এবং আবাসন ব্যবসার আড়ালে টেকনাফ থেকে বিলাসবহুল গাড়িতে ইয়াবার বড় বড় চালান এনে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি মাদক ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করেন। তখন থেকেই অধিদপ্তর তাদের ওপর নজরদারি বাড়ায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর ) উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ জানান, এই চক্রের বিরুদ্ধে গত মাসে একটি অভিযান পরিচালনা করলেও তা ব্যর্থ হয়। সবশেষ সপ্তাহ খানেক আগে গোয়েন্দাসূত্রে জানা যায়, এই চক্রটি আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচারের উদ্যোগ নিয়েছে। তারা টেকনাফের একটি রির্সোটে দীর্ঘ সময় ধরে হুন্দাই কোম্পানির বিলাসবহুল গাড়ির পাদানির নিচের প্যানেলে বিশেষ কৌশলে রাখা এক লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ঢুকিয়ে প্যানেলটি সুনিপুণভাবে ঝালাই করে রাখেন। সবশেষ সংবাদের ভিত্তিতে অধিদপ্তরের একটি দল শনিবার রাতে অভিযান চালায়। এই অভিযানে আসামিদের গাড়িটি ৭ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা ধাওয়া করে আটক করা হয়।
তিনি জানান, গাড়িটি আটকের পর প্যানেলের ঝালাই করা অংশটি খুলে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।