নানান বাঁধা বিপত্তির পেরিয়ে নতুন বর্ষকে স্বাগত জানিয়ে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলে ৬ মিনিট পিছিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। যদিও সকাল ৮টা থেকে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়।
শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহিদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।
এই শোভাযাত্রায় মানুষ নানা সাজে সজ্জিত হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। মাথাল মাথায় কৃষক, লাল-সাদা শাড়ি-পাঞ্জাবিতে তরুণ-তরুণীরা বেশ আনন্দের সঙ্গে শোভাযাত্রা অংশগ্রহণ করেছে।
এবারের শোভাযাত্রায় বড় মোটিফ ছয়টি। জুলাই বিপ্লব-উত্তর এবারের শোভাযাত্রার স্লোগান ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। যার ফলে পুরো শোভাযাত্রায় দেখা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের নীরব প্রতিবাদ। ইলিশ মাছ, বাঘ, পালকি, পাখি, মুগ্ধের পানির বোতল, স্বৈরাচারী শাসকের প্রতিবাদে অশুভ প্রতীকী মুখোশ এবার মূল মোটিফে রয়েছে।
এছাড়া মাঝারি মোটিফ হিসেবে সুলতানি ও মুঘল আমলের মুখোশ, রঙিন চরকি, তালপাতার সেপাই, তুহিন পাখি, পাখা, ঘোড়া এবং লোকজ চিত্রাবলীর ক্যানভাস। এদিকে ছোট মোটিফ হিসেবে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, বাঘের মাথা, পলো, মাছের চাই, মাথাল, লাঙল এবং মাছের ডোলা রয়েছে।
শোভাযাত্রা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রবেশ পথ ও সংলগ্ন সড়ক বন্ধ থাকবে।
নিরাপত্তার স্বার্থে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ঘিরে শাহবাগ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ, র্যাবসহ অ্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।