ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সুমিতে রাশিয়ার চালানো দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত ৮০ জন।
রোববার (১২ এপ্রিল) সকালে এ হামলা চালানো হয়, যা চলতি বছরের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়া সন্ত্রাসবাদের পথেই এগোচ্ছে এবং এভাবেই তারা যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। চাপ সৃষ্টি ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”
একটি ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, “শুধু নিকৃষ্ট মানুষই এমন নির্মম কাজ করতে পারে। সাধারণ মানুষের জীবনের ওপর এমন বর্বর হামলা কেবল নিষ্ঠুর মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।” ভিডিওটিতে রাস্তায় পড়ে থাকা মরদেহ, ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি বাস এবং আগুনে পোড়া গাড়ি দেখা যায়।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লিমানকো জানিয়েছেন, নিহতদের কেউ রাস্তায় হাঁটছিলেন, কেউ যানবাহনে কিংবা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ছিলেন, আবার কেউ ছিলেন ভবনের ভেতরে।
তিনি বলেন, “একটি ধর্মীয় দিবসে ইচ্ছাকৃতভাবে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে রাশিয়া।”
ইউক্রেনের তথ্য নিরাপত্তা কেন্দ্রের প্রধান আন্দ্রি কোভালেঙ্কো বলেন, এই হামলা এমন এক সময় চালানো হয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কো সফরে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “রাশিয়া এই কথিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলার আড়াল হিসেবে ব্যবহার করছে।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। বর্তমানে দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।