মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানি শেষ করে, ওসি প্রদীপ ও পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়েছে এক্স ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, বিপ্লব পরবর্তী ৮ মাস হয়ে গেলেও ফাঁসি কার্যকরের কোন পদক্ষেপ নেই। এ থেকে বোঝা যায় বিচারিক কার্যক্রমের ওপর এখনো পলাতক ফ্যাসিবাদীদের প্রভাব রয়েছে। কোনো বিচারেই যেন বৈষম্য না হয়, সে দাবিও করেন তারা।
এ সময় আইন উপদেষ্টার কার্যক্রমের সমালোচনা করেন বক্তারা। কিছু সুশীল স্বশস্ত্র বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তাদের।
এদিকে গত ২৩ এপ্রিল মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি সগীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি শুরু হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পাঁচ দিন পর ২০২০ সালের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন।
পরবর্তীতে একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় র্যাব। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা এবং সাগর দেবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি সাত আসামি খালাস পান। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা আপিল করেন।