জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ইরান ও সৌদি আরব দুইপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এর মধ্যে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়েই সংযম ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে।
তবে নানান মহলে গুঞ্জন উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। তবে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, সংঘাত এড়িয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ভারত।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরে হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতোমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। পাশাপাশি দিল্লিতে অবস্থিত শতাধিক কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ভারতের এই প্রচেষ্টা মূলত আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইতে নয়, বরং পাকিস্তানে সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে চালানো হচ্ছে বলে জানান চার কূটনীতিক। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল এক ভাষণে মোদি সরাসরি পাকিস্তানের নাম না নিলেও ‘সন্ত্রাসী আস্তানাগুলো ধ্বংস করার’ এবং ‘কঠোর শাস্তি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় টানা কয়েক রাত ধরে ছোট অস্ত্র দিয়ে গোলাগুলি হয়েছে। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক ধরপাকড় এবং সন্ধানে অভিযান চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান – উভয় দেশই পরমাণু শক্তিধর হওয়ায় সামরিক সংঘাত দ্রুত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবার ভারত ‘বড় ধরনের কিছু’ করার পরিকল্পনা করছে।
তবে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানায়, ভারতের যে কোনো আক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তার চেয়ে বড় আঘাত হানবে তারা।
তবে কিছু বিশ্লেষকদের মতে, উভয়পক্ষই নিজেদের সংকট সামলানোর সক্ষমতা অতিরঞ্জিত করে দেখছে, ফলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস