স্টারলিংক বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। আলোচনার পর চার মাসের মধ্যে (ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে মে ২০২৫) এটা বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রা শুরু করল।
মূলত বাংলাদেশের বিভিন্ন জাযগায় এখনো ফাইবার পৌঁছায়নি। মাত্র ৩০ শতাংশ মোবাইল টাওয়ারে ফাইবার রয়েছে। এমতাবস্থায় মোবাইল কোম্পানিগুলো যে সেবা দেয়, সেটা মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে হয়। যেটা লো ক্যাপাসিটি। বাংলাদেশে এখনও হাজার হাজার মোবাইল টাওয়ার আছে যারা শুধুমাত্র ৩০০ এমবিপিএস-এর একটা ব্যান্ডউইডথ দিয়ে একটা মোবাইল টাওয়ার সচল রাখে ডেটা ইন্টারনেটের জন্য। সেই ৩০০ এমবিপিএস ডেটা কয়েক হাজার গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা হয়।
স্টারলিঙ্কের ক্ষেত্রে মাত্র একটা সেটআপ বক্স দিযে এই সমস্যাটার সমাধান হবে। অর্থাৎ, গ্রামের একজন উদ্যোক্তা স্টারলিংকের একটা সেটআপ বক্স ৪৭ হাজার টাকায় কিনে লো লেটেন্সি (ডাউনলোড) এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে, সংসদ ভবনে কিংবা মাননীয় উপদেষ্টার বাসভবন বা তার অফিসে যেই স্পিডে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয, ঠিক একই স্পিডে দেশের প্রত্যন্ত ও দূরবর্তী অঞ্চল যেমন পার্বত্য অঞ্চল, হাওরাঞ্চল কিংবা বনাঞ্চলে যেকোনো গ্রাহক উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
একজন উদ্যোক্তা কিংবা একাধিক উদ্যোক্তা নিজেরা যদি ৪৭ হাজার টাকার একটা তহবিল গঠন করে, এই তহবিলের মাধ্যমে তারা ইন্টারনেট সেটআপ বক্স কিনবেন। কেনার মাধ্যমে তারা তাদের আশেপাশের দোকানে এই ইন্টারনেটের বিক্রি/সেবা প্রদান করতে পারবেন।
ওয়াইফাই রেঞ্জ আনুমানিক, আনুমানিক ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ মিটার। এই ৫০ মিটার জোনের মধ্যে বাংলাদেশের গ্রামের গ্রোথসেন্টারগুলোতে অনেক দোকানপাট থাকে। সেখাবে সহজেই ইন্টারনেট সেবা এক ব্যক্তি কিনে বা একাধিক ব্যক্তি সমিতি আকারে কিনে সেটা মাল্টিপল ব্যবহার সম্ভব। আইনে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়নি।
এছাড়া শহরের বাসভবনে ওয়াইফাই শেয়ারিং করে ইন্টারন্টে ব্যবহার সম্ভব। স্টারলিঙ্কে যেহেতু বিল্টইন রাউটার আছে সেহেতু রাউটার হতে রাউটারে আইএসপি সেটআপেও ব্যবহার সম্ভব।
একটি ভবনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে এমন অনেকগুলো অ্যাপার্টমেন্ট, কন্ডোমিনিযাম, ফ্ল্যাট থাকে। তারা বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট যারা পাশাপাশি থাকে তারা মিলে পাশাপাশি চারটা বা পাঁচটা অ্যাপার্টমেন্ট বা কয়েকটা দুই একটা তলা মিলে এই সার্ভিস ব্যবহার তবে এক্ষেত্রে রেঞ্জ সর্বোচ্চ ২০ মিটার করতে পারবেন।