রাজধানীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ভুবন মারা গেছেন

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলির সময় গুলিবিদ্ধ মোটরসাইকেল আরোহী এ্যাডভোকেট ভুবন চন্দ্র শীল (৫২) মারা গেছেন। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ভুবন চন্দ্র শীলের শ্যালক পলাশ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার রাত ১০টার দিকে তেজগাঁও শিল্প এলাকার সিটি পেট্রোলপাম্প ও বিজি প্রেসের মাঝামাঝি একদল সন্ত্রাসী চারটি মোটরসাইকেলে এসে শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনের প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় প্রাইভেট কার থেকে মামুন ও তার দুই সহযোগী মিঠু ও খোকন নেমে পড়েন। তখন সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মামুনের পিঠ ও ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ভুবন চন্দ্র শীল এবং মো. আরিফুল নামে দুই পথচারী আহত হন। পরে এ ঘটনায় মামলা হয়। ভুবন চন্দ্র তখন ওই পথ দিয়ে মোটরসাইকেলে আরামবাগ যাচ্ছিলেন। সন্ত্রসীদের করা গুলি গিয়ে লাগে ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে ওই রাতেই তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার পরের দিন দুপুরে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তেজগাঁও বিজি প্রেস এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে দুই পথচারী আহত হয়েছেন। এছাড়া শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি সন্ত্রাসী মামুন পিয়াসা বার থেকে ফেরার পথে তার মাইক্রোবাসে হামলা হয়।’
মামুন ২০ বছর জেল খেটে বের হয়েছেন জানিয়েছেন তিনি। ডিবিপ্রধান বলেন, ‘সন্ত্রাসী ইমন জেলে মামুনকে হুমকি দিয়েছিল। ইমনের লোকজন মামুনের ওপর হামলা করেছে বলে ধারণা করছি। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সব কিছুই বেরিয়ে আসবে।’
জানা গেছে, ভুবন চন্দ্র শীল গোমতী টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন। গুলশানে তার কার্যালয়। ঘটনার দিন রাতে কাজ শেষে সেখান থেকে আরামবাগের বাসায় ফেরার পথে তিনি গুলিবদ্ধ হন। আরামবাগের বাসায় তিনি একাই থাকতেন। তার স্ত্রী রত্না রানী শীল একমাত্র সন্তানকে নিয়ে থাকেন নোয়াখালীর মাইজদীতে। রত্না মাইজদীর একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।