August 8, 2025, 4:10 am

পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ অস্ট্রেলিয়া

Reporter Name 158 View
Update : Monday, October 29, 2018

স্পোর্টস ডেস্ক*
সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮:
এক ম্যাচ আগেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল পাকিস্তানের। তাই রোববারের শেষ ম্যাচটি দলটির জন্য ছিল আনুষ্ঠানিকতার। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ছিল সম্মান রক্ষার লড়াই। সে পথে দলটি বেশ ভালমতই এগোচ্ছিল। কিন্তু এক স্পেলেই সফরকারীদের সব আশা নিমেশেই শেষ করে দিলেন শাদাব খান। ডানহাতি স্পিনারের ঘূর্ণিতেই সিরিজের শেষ ম্যাচে দুবাইয়ে দিশেহারা হয়েছে অজি ব্যাটসম্যানরা। যে কারণে সরফরাজ আহমেদের দলের কাছে অ্যারণ ফিঞ্চদের পড়তে হয়েছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায়।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার পাকিস্তান জিতেছে ৩৩ রানে। এরআগের দুই টি-টোয়েন্টিতেও অস্ট্রেলিয়াকে সহজেই হারিয়েছিল সরফরাজ আহমেদের দল। যে কারণে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ লজ্জা দিয়ে আনন্দে মাতে মিকি আর্থারের দল।

রোববার টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে পাকিস্তান। জবাবে শাদাব খান (৩/১৯) ও হাসান আলি (২/১৪) তোপে ১৯.১ ওভারে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

রোববার বাংলাদেশ সময় রাতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। দুই ওপেনার বাবর আজম (৫০) ও সাহেবজাদা ফারহানের (৩৯) ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু পায় স্বাগতিকরা। শেষ দিকে মোহাম্মদ হাফিজের অপরাজিত ২০ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় সরফরাজ আহমেদের দল। মাঝে শোয়েব মালিকের ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ১৮ রান।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিশেল মার্শ নেন ২টি উইকেট। এছাড়া নাথান লায়ন, অ্যান্ডু টাই ও অ্যাডাম জাম্পা নেন ১টি উইকেট।

পাকিস্তানের দেয়া ১৫১ রানের লক্ষ্যে পথ চলার শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। ইমাদ ওয়াসিমের প্রথম ওভারেই অজি ওপেনার অ্যালেক্স কুরি ২ চার ও ২ ছয়ে নেন ২০ রান। কিন্তু পরের ওভারে ফাহিম আশরাফের পঞ্চম বলে তার সতীর্থ অ্যারণ ফিঞ্চ (১) মোহাম্মদ হাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। কিছুক্ষণ পরই কুরিও সতীর্থ পথ অনুসরণ করেন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মোহাম্মদ হাফিজের ঘূর্ণিতে বোকা বনে ফাহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এ ডানহাতি। এরপর বেন ম্যাকডারমোটকে নিয়ে ক্রিস লিন তৃতীয় উইকেটে ধীরে ধীরে দলের রান বাড়াচ্ছিলেন। সঙ্গে ২৬ রানের একটা জুটিও গড়ে ছিলেন। সে সময় কিন্তু অনেকেই ধরেই নিয়েছিল ম্যাচটি জিতবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসে সফরকারীদের সব হিসেব পাল্টে দিলেন পাক লেগ স্পিনার শাদাব খান। ঐ ওভারের প্রথম বলেই ফাহিমের ক্যাচে লিনকে (১৫) ফেরান তিনি। ৩ বল পরই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়েন ম্যাকডারমোট (২১)। সে সময় অস্ট্রেলিয়ার রান ৭.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৬২। তারপরও দলটির জয়ের জন্য সমীকরণটা ছিল সহজ। কিন্তু শাদাব খান আর হাসান আলি তোপে কোন ব্যাটসম্যানই পারেননি ২২ গজে দাঁড়াতে।

ম্যাক্সওয়েল বড় শট খেলতে গিয়ে শাদাবের বলে শোয়েব মালিকের হাতে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাত্র ৪ রানে। ম্যালকম মার্শ পারেননি তেমন কিছু করতে। শাদাবের ঘূর্ণিতে মালিকের দুর্দান্ত ক্যাচ হওয়ার আগে করেন মাত্র ২৪ বলে ১ ছয়ে ২১ রান। শেষ দিকে ডার্চি শটের ১০ আর জ্যাম্পার ব্যাট থেকে আসে ৯ রান।

পাকিস্তানের হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাদাব খান। ৩.১ ওভারে হাসান আলি পকেটে পুরেছেন ২টি উইকেট। এছাড়া ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ হাফিজ ও উসমান খান নেন ১টি করে উইকেট।

অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাদাব খান। আর পুরো সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করা বাবর আজম হয়েছেন সিরিজ সেরা।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর