জাহালমের মতো কেউ কারাগারে আছে কিনা দেখা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক | বৃহস্পতিবার ,০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভুলে তিন বছর সাজা খাটা নিরাপরাধ জাহালমের মতো আর কেউ কারাগারে আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এছাড়া সরকার দেশের কারাগারগুলোতে অচল-অক্ষম হয়ে পড়া কয়েদিদের মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যারা অচল হয়ে গেছেন; দীর্ঘদিন জেলে আছেন; তাদের কনসিডার করার জন্য আইডেন্টিফাই করে রিলিজ দেয়া যায় কিনা তার ব্যবস্থা করার জন্য। তবে এ ঘটনার জন্য কে দায়ী সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনুসন্ধান করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত কয়কদিনে সীমান্তে ৯ জনের মতো নিহত হয়েছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্তে যাতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড না হয় এবং বিএসএফ কেন এ হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে সে বিষয়ে বিজিবি আলোচনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর সীমান্তে জিরো কিলিং এর যে বিষয়টি, সেটি বিরাজমান ছিল। কিন্তু নতুন করে কেন এ সমস্যা হচ্ছে সেটি নিয়ে আরও উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হবে। এ কিলিং যাতে আর না হয় সেটি নিয়েই আলোচনা করব।’
নতুন করে রোহিঙ্গা আসছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিজিবি জানিয়েছে বর্ডারে সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কিছু দুর্গম এলাকা রয়েছে। সেখানে আমাদের বিজিবি সতর্ক অবস্থানে আছে। যেভাবে আমরা শুনছি, তেমন আসেনি।’
২১শে ফেব্রুয়ারির নিরাপত্তা বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শহীদ মিনারের দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের বাহিনী কাজ করে। এবার বিএনসিসির ৫০০ সদস্য সেখানে থাকবে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা ও প্রয়োজনে বিজিবি-আনসার কাজ করবে। কোনো হকার বা অস্থায়ী দোকান বসা যাবে না। পুরো এলাকা সিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সেদিন সাদা পোশাকধারী পুলিশও নিয়োজিত থাকবে। দেশি-বিদেশি যারাই আসবে প্রতিবারের মতো এবারও তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু স্থানে খোড়াখুড়ি চলছে এবং বইমেলাও চলছে, সব মিলিয়ে একটি ট্রাফিক ব্যবস্থা আমরা করবো, সেজন্য রোডম্যাপ তৈরি করবো।’
‘সারা বাংলাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সবাই যাতে নির্বিঘ্নে দিবসটি উদযাপন করতো পারে।’ স্বরস্বতি পূজার সময়ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।









