August 3, 2025, 8:12 pm

কোচের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকলেই নারী দলে সুযোগ মিলছে!

Reporter Name 149 View
Update : Wednesday, October 3, 2018

নারী ক্রিকেটের চলমান সুসময়ের মধ্যেও বাজে খবর চাপা রইল না। তৃণমূল পর্যায়ে নারী ক্রিকেট দল গঠনের সময় ব্যাপক পক্ষপাতিত্বের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় কোচদের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকলেই নারী দলে সুযোগ পাওয়া যায়, এমন তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটের অন্যতম অগ্রদূত ইমতিয়াজ হোসেন পিলু।

২০০৬ সাল থেকে নারী ক্রিকেট নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করে যাওয়া কোচ ইমতিয়াজ হোসেন পিলুর হাত ধরেই জাতীয় দলের বর্তমান তারকা নারী ক্রিকেটাররা গড়ে উঠেছে। কিন্তু বর্তমানে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ধীরে ধীরে বিলুপ্তের পথে। নিজ যোগ্যতা বলে নয়, কোচের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকলেই দলে সুযোগ মিলে মেয়েদের।

‘আমি মহিলা ক্রিকেটে আছি, এখানে সবসময়ে একটা মারপ্যাঁচ আছে, যেহেতু এটা একটা মহিলা টিম। একটা মেয়ে সুযোগ পাবে তাঁর যোগ্যতা আছে, কিন্তু দেখা যাবে আরেকটা মেয়ে সুযোগ পাবে কারণ তাঁর স্যারের সাথে ভাল সম্পর্ক আছে তাই,’ বলেছেন খুলনায় নারী ক্রিকেটারদের কোচ ইমতিয়াজ হোসেন পিলু।

অথচ ২০১৮ সালকে বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটের উত্থানের বছর বলা চলে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এযাবৎ কালের সবচেয়ে বড় অর্জন এসেছে নারী ক্রিকেটের মধ্য দিয়েই। এই বছরই এশিয়া কাপের মত বড় আসরে ফেভারিট দল ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ।

ফাইনাল জেতানো দলেই পাঁচ ক্রিকেটার ছিলেন কোচ ইমতিয়াজ হোসেন পিলুর শিষ্য। বিভিন্ন সময়ে তাঁর সান্নিধ্যে গড়ে উঠেছে ১৩ জন জাতীয় ক্রিকেটার। দেশের তৃণমূল পর্যায়ের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে আস্থা হারালেও জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেটে সঠিক পথেই এগোচ্ছে।

‘তবে জাতীয় দলে যারা এখন আছে, তাঁরা সবাই স্কিল্ড প্লেয়ার। অনেক ভাল অনেক কয়ালিটিই আছে তাদের। এদের মনে একটা ভয় ছিল আগে, আমি যদি ভাল না খেলি তাহলে আমি দল থেকে বাদ পড়ব। এটা তাঁরা সবসময় বয়ে বেড়াত। কিন্তু তাদের যদি সেই ভয় দূর করা যায় তাহলে আরও ভাল করবে।

‘বর্তমান কোচ ও এখন যারা আছে তাঁরা তাদের কাছ খেলা বের করে আনতে পারছে। মেয়েদের দুর্বলতা ও সবলতা কি আছে, সেই সব নিয়ে কাজ হচ্ছে। এটা যদি আরও দুই বছর ধরে রাখা যায়, যদি এই কোচদের উপর সব ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে আমার মনে হয় আগামী পাঁচ বছর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।’


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর