August 25, 2025, 12:01 pm

আমরা এতিম, আমাদের শেষ সম্বল রক্ষায় সহযোগিতা করুন’

Reporter Name 216 View
Update : Tuesday, October 16, 2018

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সিরাজুল হক স্ত্রী ও তিন নাবালক সন্তান রেখে ছয় বছর আগে মারা যান। সন্তানদের জন্য রেখে যান পৌত্রিক সূত্রে পাওয়া পৌর শাহজাদপুর মনিরামপুর বাজারে ১৫ শতাংশ জমির উপর নির্মিত ছোট্ট একটি মার্কেট।

তার মৃত্যুর পর এতিম সন্তানদের জমিসহ মার্কেটটি দখল করে নিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের ছোট ভাই আলহাজ্ব শামসুল হক। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নাবালক তিন সন্তানসহ মাকে নানা হয়রানি নির্যাতন শুরু করছেন আলহাজ্ব শামসুল হক।

এ অবস্থায় এতিম নাবালক তিন সন্তানের শেষ সম্বল জমিসহ মার্টেকটি রক্ষায় সোমবার সকালে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের বিধবা স্ত্রী তাজলিন বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, জীবিত অবস্থায় অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম ও তার দুই ভাই মনিরামপুর বাজারে একটি মার্কেট নির্মাণ করে তিন ভাই সমানভাবে ভোগ করতে থাকেন। সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার তিন ভাইয়ের অংশ থেকে তাদের মায়ের আড়াই শতাংশ অংশটুকু প্রথমে শামসুলক হক ফুসলিয়ে সম্মুখভাগ থেকে রেজিষ্ট্রি করে নেন। এরপর তাদের ১৫ শতাংশ জমিসহ মার্কেট দখল নিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জোরপুর্বক ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু ভাড়াটিয়ারা ভাড়া না দেয়ায় তিন সন্তানসহ আমাকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন।

শাহজাদপুর থানাসহ ফৌজদারী আদালতে বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা দেয়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো উল্লেখ বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর কয়েকদিন পরই দেবর শামসুল আমাকে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক ৯৫ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন। আমার স্বামীর চার চাকার টেক্সি গাড়ীটি বিক্রি করে সব টাকা আত্মসাত করেছেন। মার্কেটের ভাড়ার টাকায় ছেলে-মেয়েদের মুখে অন্ন তুলে দেয়ার পাশাপাশি লেখাপড়ার খরচ বহন করছি। এখন সেটাও দখল নেয়ার চেষ্টা করছে। জোরপূর্বক দখল নিলে আমি এতিম নাবালক তিনসন্তানকে নিয়ে কোথায় দাঁড়াবো?

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের এতিম সন্তান সাদিক ও দুই নাবালক মেয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার আম্মা একজন বয়স্ক-বিধবা মানুষ। চাচার দায়ের করা মিথ্যা মামলায় প্রতিনিয়ত আমাদেরকে হাজিরা দিতে হচ্ছে। আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছে। শাহজাদপুর থানায় জিডি করেও কোন সুফল পায়নি।

কান্নাজড়িত কন্ঠে তিন নাবালক সন্তান মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে বলেন, ‘আমরা এতিম-আমাদের শেষ সম্বলটুকুর রক্ষায় সহযোগিতা করুন।’


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর