October 25, 2025, 10:11 pm

খাটো জাতের ‘ম্যাজিক নারিকেল’ চাষে গুরুত্ব কৃষি মন্ত্রণালয়ের

Reporter Name 153 View
Update : Monday, January 21, 2019

অনলাইন ডেস্ক | সোমবার,২১ জানুয়ারি ২০১৯:
খাটো জাতের হাইব্রিড নারিকেল গাছের চাষে গুরুত্ব দিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ নারিকেল গাছ সনাতনী গাছের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি ফল দেবে। শুধু তাই নয়, ফলবে চারা বপণের দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই।

নতুন উদ্ভাবিত এ নারিকেল গাছ বছরে ১৫০ থেকে ২৫০টি ফল দিয়ে থাকে।

পরিমাণটি দেশি নারিকেল গাছের তুলনায় তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি। গাছের উচ্চতা ২ থেকে ৪ ফুট হলেই ফল ধরা শুরু করে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে খর্বাকৃতির এই নারিকেল গাছের উৎপাদনে জোর দেয়া হচ্ছে। এ নারিকেল গাছের চাষ করে চাষীকে ৬/৭ বছর অপেক্ষা করতে হয় না।
বাংলাদেশে দুটি খাটো জাতের নারিকেল গাছের চাষ হয়। একটি হলো ডিজে সম্পূর্ণ হাইব্রিড ডোয়াফ নারিকেল এবং অন্যটি হলো ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ‘উন্নত ও খাটো‘ ওপেন পলিনেটেড (ওপি) জাত। ভিয়েতনাম থেকে সংগ্রহ করা এ জাতটি আবার দু-ধরনের, সিয়াম গ্রীণ কোকোনাট এবং সিয়াম বস্নু কোকোনাট। দুটি জাতই বছরে প্রায় ১৫০টি নারিকেল দেয়। তবে এটি হাইব্রিড নয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উন্নত জাতের এ নারিকেলের জাতটি বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয় এই ‘ম্যাজিক নারিকেল’র ২০ হাজার চারা সম্প্রতি ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করেছে। এই চারা লাগানোর দুই বছর পরই নারিকেল ধরা শুরু হয়। মাটিতে ছুঁই ছুঁই এ নারিকেল মাটিতে বসেই পাড়া সম্ভব।

আর দেশি জাতের চেয়ে এর ফলন প্রায় তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি। দেশে নারিকেলের চাহিদা মেটাতে আরো ৭৫ হাজার চারা আমদানির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ চারা দক্ষিণাঞ্চলের ১৮টি জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সম্প্রতি নারিকেলের দু’টি জাত সনাক্ত করেন। ওই জাতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো নারিকেল থেকেই এর চারা হবে। দুই থেকে আড়াই বছরে গাছে মুচি আসবে। প্রতিটি ডাব থেকে ৩০০ এমএল পানি পাওয়া যাবে। সিয়াম বস্নু কোকোনাট জাতটির পানি খুবই মিষ্টি এবং সুগন্ধিযুক্ত। এটি বেঁটে প্রজাতির জাত। নারিকেল পাড়া সহজ। বর্তমানে নারিকেলে পোকা মাকড়ের আক্রমণ শুরু হয়েছে। বড় গাছের মাকড় মারা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু এই গাছের মাকড় খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয় সারা বছর ফল উৎপাদনের জন্য নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প’। এই প্রকল্পের অধীন প্রথম ধাপে ভিয়েতনাম থেকে ২০ হাজার ওই নারিকেল চারা আনা হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, নারিকেলের উন্নয়নে কাজ করছে ‘এশিয়ান প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটি’। যার প্রধান কার্যালয় ইন্দোনেশিয়ায়। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ১৮টি দেশের নারিকেল নিয়ে সংস্থাটি কাজ করছে।

ওই সংস্থাটি এক জরিপ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশে ৪০ কোটি নারকেল গাছ লাগানো সম্ভব। কিন্তু উন্নত জাতের নারকেল চারার সন্ধান মেলেনি। কয়েক বছর আগে ভারত থেকে একটি জাত আনা হলেও এর চারা করা সম্ভব হয়নি। কেননা, সেটি ছিল হাইব্রিড জাত। এরপর ভিয়েতনামেই এই নারিকেলের জাতটির সন্ধান মিললো।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর