August 4, 2025, 11:19 pm

নিরাপদে চলাফেরা করতে চায় পুরান ঢাকার কিশোরীরা

Reporter Name 153 View
Update : Friday, April 19, 2019

ডেস্ক রিপোর্ট | শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯:
নারী নির্যাতন বন্ধ করতে এবং ভবিষ্যতে যেন তারা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে সেই দাবিতে মানববন্ধন করেছে পুরাতন ঢাকার কিশোরীরা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নুসরাত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে বিভিন্ন সংগঠন। মানববন্ধনে অংশ নেয় পুরান ঢাকার ছোট ছোট কিশোরী শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধ‌নে উপ‌স্থিত হ‌য়ে ফরিদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা বলেন, ‘আমরা চাই কোন নারী যেন নির্যাতনের শিকার না হয়। আমরা যারা ছোট আছি তারা যেন ভবিষ্যতে বাহি‌রে নির্ভয় চলাফেরা করতে পারি। এবং প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অমানবিক নির্যাতন বন্ধ করা হোক। শিক্ষা প্র‌তিষ্ঠা‌নে যেন আমরা নির্ভ‌য়ে যে‌তে পা‌রি তার জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ আমরা চাই।’

এছারাও একই সময় জাতীয় প্রেসক্লা‌বের সাম‌নে নুসরাত হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে শ্রমজীবী নারী মৈত্রী। সংগঠনের সভাপতি বন্নিশিখা জামালী বলেন, ‘ধর্ষক ও নারী নির্যাতকের আশ্রয়দাতাকে শাস্তি দিতে হবে। যেন কোনোভাবেই এর সাথে জড়িত কেউ আইনের বাইরে না থাকতে পারে। দিনদিন নারী নির্যাতন বেড়েই চলছে। এর জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। নারী নিপীড়ন ও ধর্ষকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

অন্যদিকে নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ফোরাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল আলম বলেন, ‘সম্প্রতি ফেনীর সোনাগাজীতে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনার মামলার প্রধান আসামি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ সকল আসামিদের দ্রুত বিচার আইনে বিচার করা হোক। এমন শাস্তি দেওয়া হোক যেন এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনা না ঘটে।’

যাত্রাবাড়ীর দুই অবুঝ শিশুকে যৌন নির্যাতন ও হত্যা, ফেনীর মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানি ও পুড়িয়ে হত্যাসহ সকল শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে একসেস টু হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক বলেন, আমরা প্রত্যেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে সচেতন হব। সবাইকে সচেতন করবো। মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করে, মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করেব। প্রত্যেক এলাকার স্কুল ,কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, গির্জা ও কর্মস্থলে সচেতনতামূলক কর্মশালা, কাউন্সিলিং, মনিটরিং, নির্দেশনা বোর্ড, অভিযোগ বক্স এবং সম্মিলিত সব আয়োজন করি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জন্য সুস্থ, উন্নত ও নিরাপদ সমাজ ও রাষ্ট্র নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। কারণ সুস্থ মানসিকতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত যা সুস্থ সামাজিক ব্যবস্থা ছাড়া অসম্ভব।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর