বগুড়ায় বিএনপি নেতা শাহীন হত্যায় যুবলীগ নেতা রিমান্ডে
নিউজ ডেস্ক | বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯:
বগুড়ায় বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিল্লাল হুসাইনের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। সিদ্ধান্ত অনুসারে অ্যাডভোকেটস বার সমিতির কোনো সদস্য তার পক্ষে দাঁড়াননি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আম্বার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ৩ নম্বর গেট থেকে আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর প্যানেল মেয়র ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
তার বাবা আবদুল লতিফ মণ্ডল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সভাপতি, বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও এরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
আমিনুল বগুড়া সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি বলে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম দুলু।
গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিশিন্দারা উপশহর এলাকায় দুর্বৃত্তরা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, পরিবহণ ব্যবসায়ী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে। ১৬ এপ্রিল বিকালে নিহতের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী সদর থানায় আমিনুল ইসলামসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে আমিনুল তার সহযোগীদের নিয়ে শাহীনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। পরদিন পুলিশ শহরের নিশিন্দারার বাড়ি থেকে সন্ধিগ্ধ আসামি রাসেল ও গাবতলীর আত্মীয় বাড়ি থেকে এজাহারভুক্ত আসামি পায়েল শেখকে গ্রেফতার করে। এরা দুজনই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আমিনুল ইসলামকে পুলিশের হেলমেট ও লাইফজ্যাকেট পরিয়ে কঠোর নিরাপত্তায় বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিল্লাল হুসাইনের আদালতে হাজির করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আম্বার হোসেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
এ সময় আমিনুলের পক্ষে পূর্ব অঙ্গীকার অনুসারে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি। আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, বুধবার বিকাল পর্যন্ত আর কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।









