ট্রাভেল এজেন্সির নামে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিতো তারা

ঢাকার খবর | শনিবার,৩ আগস্ট ২০১৯:
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিদেশে চাকরি ও ভিসা প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় র্যাব-৪-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল ব্রেকিংনিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটক প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন–বরগুনার মো. লিটন (৩৫), পটুয়াখালীর সঞ্চিতা আক্তার ওরফে সানজিদা ওরফে দীপা (২৪), মেহেরপুরের মহেরুল্লা হোসেন (৫০), কুমিল্লার মোছা. বিপাশা আক্তার (২৪), শেরপুরের মো. শফিক (৩৪) এবং মাদারীপুরের তোতা মিয়া মাল (৪৮)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার সিপিইউ, জাল ভিসা, জাল ম্যানপাওয়ার কার্ড, জাল এয়ার টিকেট, মানি রিসিপ্ট উদ্ধার করা হয়।
সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতারকদের আটক করা হয়েছে। চক্রের মূল হোতা লিটন ওরফে সোহান। ২০১৩ সাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ট্রাভেল এজেন্সির নাম ব্যবহার করে অফিস ভাড়া নিতো তারা। সেখানে আসা গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলতো এবং ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য চুক্তিমতো অর্ধেক টাকা নিতো। কিছুদিন পর জাল ভিসা, ম্যানপাওয়ার কার্ড ও এয়ার টিকেট দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা হাতিয়ে নিতো চক্রটি। একপর্যায়ে অফিস ফেলে পালিয়ে যেতো তারা।
বিভিন্ন নামে অফিস নিয়ে প্রতারণার বিষয়ে তিনি জানান, এয়ার ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড টুর, বেঙ্গল টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, আলিফ টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, আরেফিন ট্রাভেলস, সানিম ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, আশিক ট্রাভেলস, বেঙ্গল ট্রাভেলস, এমএম ট্রাভেলস, বাপ্পিমনি এন্টারপ্রাইজ এবং হাবিব ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সির নামে দিনের পর দিন চক্রটি শত শত সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করেছে।
প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, চক্রের মূল হোতা লিটন ওরফে সোহান সার্বক্ষণিক আইপি ক্যামেরার মাধ্যমে অফিস কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতো। এই কারণে যদি কোনও ভুক্তভোগী অফিসে এলেই সে পালিয়ে যেতো। এভাবে দীর্ঘদিন সে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।