September 15, 2025, 5:27 pm

বন্যার প্রভাব পড়েছে রংপুরের কোরবানির পশুর হাটে

Reporter Name 141 View
Update : Saturday, August 3, 2019

রংপুর | শনিবার,৩ আগস্ট ২০১৯:
বন্যার প্রভাব পড়েছে রংপুরের কোরবানির পশুর হাটে
ঈদ-উল আজহার আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি। তবে এখনো রংপুরের পশুর হাট জমে উঠেনি। বন্যার কারণে রংপুরের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে কেনাবেচা নেই বললেই চলে। বন্যা দুর্গত এলাকার খামারি ও ক্ষুদ্র গরু ব্যবসায়ীরা চাচ্ছে দ্রুত গরু বিক্রি করতে।

অন্যদিকে ক্রেতারা চাচ্ছে আগে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক তারপর গরু কেনা যাবে। এ অবস্থায় হাটগুলোতে গরুর সংখ্যা বাড়লেও ক্রেতা তেমন একটা নেই। তাই বেচাকেনাও হচ্ছে খুব সামান্য।

জানাগেছে, রংপুর অঞ্চলে গরুর হাটের সংখ্যা শতাধিক। এর মধ্যে রংপুরের বড় পশুর হাটগুলো হলো তারাগঞ্জ হাট, বদরগঞ্জ হাট, বড়াইবাড়ী হাট, লালবাগ, বুড়ির হাট, চৌধুরানীর হাট, নজিরের, পাওটানা, কান্দির হাট, দেউতি, টেপা মধুপুর, খানসাসা মিঠাপুকুর, বৈরাতি, জায়গির হাট, শঠিবাড়ী, বালুয়া হাট, মাদারগঞ্জ হাট। এছাড়াও রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় হাট রয়েছে চারটি। এসব হাটে স্বাভাবিকভাবে যে গরুর আমদানি হয় তার চেয়ে কিছুটা বেশি দেখা গেছে। বন্যাদুর্গত এলাকার খামারিরা পশুখাদ্যের সংকটে দ্রুত তাদের পশু বিক্রি করতে গরু হাটে তুলছে। তাই পশুর আমদানি তুলনামূলক কিছুটা বাড়লেও সে অনুপাতে ক্রেতার সংখ্যা এখনো বাড়েনি।

কারণ হিসেবে জানা গেছে, অনেকে আগেভাগে কোরবানির গরু কিনতে চায় কিছু কম দামে। কিন্তু এবার বন্যার কারণে গরু কিনে কোথায় রাখবে এই সমস্যায় এখনো কেনা শুরু করেনি।

অন্যদিকে পশুর মালিকরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় বসে আছে। তাদের মতে, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সামনে আরও অনেক হাট পাওয়া যাবে। তখন বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে। তবে বিক্রেতাদের কেউ কেউ আশঙ্কা করছে, ঈদের আগে পশুর দাম কমে যেতে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই সব হাটে গত বছর ঈদের সময় যে গরু ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবার একই গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। একইভাবে প্রায় দ্বিগুণ দাম চাওয়া হচ্ছে ছাগলেরও।

রংপুর সিটি করপোরেশনের বাজার পরিদর্শক ফরিদ আহম্মেদ জানান, সিটি করপোরেশনের আওতায় বড় চারটি হাট রয়েছে। এগুলো হলো লালবাগ, নিসবেতগঞ্জ, হাজীর হাট ও বুড়ির হাট। বন্যার কারণে হাটগুলো জমে না ওঠায় এখনো টোল বাড়ানো হয়নি।

রংপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম জানান, বন্যার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়াটা স্বাভাবিক। তবে এ অবস্থা থাকবে না।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বন্যা হলেও এ অঞ্চলের খামারিরা গরুর ভালো দাম পাবে।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর