রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী
 
						নিউজ ডেস্ক | রবিবার,২৫ আগস্ট ২০১৯:
বিগত ২০১০ সালে রংপুর অঞ্চলের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে গঠিত হয়েছে রংপুর বিভাগ। আর ২০১২ সালে গঠিত হয়েছে রংপুর সিটি করপোরেশন। দেখতে দেখতে রংপুর বিভাগ ৯ বছর ও সিটি করপোরেশন ৭ বছর পেরিয়ে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় হেড কোয়ার্টার ও সিটি করপোরেশন এলাকায় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের লক্ষে ২০১৪ সালে মন্ত্রী পরিষদে অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদনের পাঁচ বছরেও রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রমের অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ  রংপুর নগরবাসী। ফলে বিভাগীয় জেলা রংপুরের পরিকল্পিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিকরা। 
সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ জুন সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভূঁইঞার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় এগুলোতে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ করে স্বশাসিত সংস্থা গঠনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে টেকনিক্যাল কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রস্তাবিত রংপুরসহ তিনটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইনের খসড়া আইন প্রণয়ন করে।
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের জন্য সচিব কমিটিতে উত্থাপিত সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, স্বশাসিত এই তিন সংস্থা গঠন হলে জাতীয় স্বার্থে সিলেট, রংপুর ও বরিশাল এলাকার উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব হবে। তিন বিভাগীয় সদর এলাকায় অপরিকল্পিত উন্নয়ন নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প বাস্তবায়ন, অপরিকল্পিতভাবে বহুতল ভবন, হোটেল-মোটেল এবং অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ এ ধরনের সমস্যার মূল কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তিনটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন সম্পর্কিত আইনের খসড়ার জন্য জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে মতামত নেওয়া হয়েছে বলে সারসংক্ষেপে উল্লেখ রয়েছে।
রংপুরের শিক্ষানুরাগী নুরুল আবছার দুলাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুলের সমাবেশে রংপুরের উন্নয়ন নিজ কাঁধে তুলে নেন। এরই অংশ হিসেবে রংপুর বিভাগ, সিটি করপোরেশন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও চার লেন মহাসড়ক নির্মাণ হয়েছে।’
তিনি জানান, ২০১২ সালের ২৮ জুন রংপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে নগরীতে বেড়েছে মানুষের সংখ্যা। প্রায় ১০ লাখ নাগরিকের এ নগরীতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে দোকানপাট, শপিংমল, আবাসিক ভবন। ফলে যানজট, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি নিস্কাশনসহ নানা সমস্যা ঘনীভূত হচ্ছে।
সুজন রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি আফতার হোসেন বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের প্রস্তাব দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। কেন এটাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না, এটা ভাবার বিষয়।’
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘উন্নয়নের স্বাথে দ্রুত রংপুর উন্নয়ন পরিষদ গঠন করা দরকার।’
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘রংপুর উন্নয়ন প্রকল্প এবং নগরীকে ঘিরে কোনো মাস্টারপ্ল্যান না থাকায় অপরিকল্পিত নগরায়ন বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।’


 
												                                            





 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										