ক্যাসিনো: রাশেদ খান মেননসহ ৫ জনকে আইনি নোটিশ
						নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার,২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯:
ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবকে সিলগালা ও মালিক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবৈধ জুয়ার আসনের এই ক্লাবের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য ও ওয়াকার্স পার্টির পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। 
তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেয়ায় ঢাকা-৮ আসনের (রমনা, মতিঝিল, পল্টন, শাহজাহানপুর ও শাহবাগ) এই সাংসদসহ পাঁচ জনের নামে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ডাক ও রেজিস্ট্রি যোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এই নোটিশ পাঠান। এই নোটিশের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে জানা গেছে।
ক্যাসিনোতে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননসহ অনেকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, তাই জনস্বার্থে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রাশেদ খান মেনন ছাড়াও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামশুল হক চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বরাবরে এ নোটিশ পাঠান।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকার জুয়া বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু সেটা এখনো করেনি সরকার। ফলে সারাদেশে জুয়া, ক্যাসিনো প্রভাব বিস্তার করেছে। সে জন্য অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে, মানিলন্ডারিং হচ্ছে। ইদানিং সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। যাদের কিছু কিছু সংশ্লিষ্টতা আছে তাদের গ্রেফতার করছে। কিন্তু যারা গডফাদার তাদের গ্রেফতার করছে না।’
‘পত্রপত্রিকায় এসেছে রাশেদ খান মেনন ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির সভাপতি। তিনি লাল ফিতা কেটে উদ্বোধন করেছেন। এবং তার ছবি সেই চেয়ারম্যান কক্ষে আছে। তার বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। গতকাল মিডিয়ায় দেখেছি পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সচিব বলেছেন বিদেশীদের জন্য ক্যাসিনোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন। এ বক্তব্য অসাংবিধানিক। এছাড়া একজন হুইপ মিডিয়ায় জুয়া বা ক্যাসিনো বন্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ক্লাব কিভাবে চলবে। এখন কথা হচ্ছে অবৈধভাবে উপার্জন করে ক্লাব চলবে?’
তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি। এ বিষয়গুলো যে মিডিয়ায় দেখা যায় তা কতটুকু সত্য এগুলোর বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চেয়েছি। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব না পাওয়া যায় তাহলে ধরে নেয়া হবে মিডিয়ায় যা এসেছে তা সত্য এবং ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করবো।’


												                                            





										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										