August 3, 2025, 7:56 am

ভিসি ক্যাম্পাস ছাড়লেও আন্দোলন ছাড়ছেন না শিক্ষার্থীরা

Reporter Name 162 View
Update : Monday, September 30, 2019

নিউজ ডেস্ক | সোমবার,৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯:
নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর অশালীন আচরণের অভিযোগে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন ক্যাম্পাস ছাড়লেও আন্দোলন ছাড়ছেন না বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভিসির পদত্যাগ ও পতনের দাবিতে টানা ১২ দিনের মতো তীব্র আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভিসি ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ায় আমরা আনন্দিত। তবে ভিসির পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তার পতন নিশ্চিত করেই আমরা বিজয় মিছিল করে ঘরে ফিরবো।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)’র সুপারিশসহ এক প্রতিবেদন দাখিলেন পর রবিবার রাত ১০টার দিকে কড়া পুলিশি পাহারায় ক্যাম্পাস ছেড়েছেন ভিসি অধ্যাপক নাসিরউদ্দিন। ভিসির ক্যাম্পাস ছাড়ার পর রাতেই ক্যাম্পাসে বিজয়োল্লাস করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রবিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে গত ২১ সেপ্টেম্বর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্বরে ভিসির পতনে ‘রেড কার্ড প্রদর্শন’ করে মানববন্ধন করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, হামলার ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব যাদের দেয়া হয়েছে তারা প্রায় সবাই ভিসির নিজস্ব ও বিশ্বস্ত লোক। তাই প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা তদন্তে তেমন কোনও সাক্ষী-প্রমাণ বা হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারিনি। যার কারণে এ বিষয়ে একটি ফৌজদারি মামলা দায়েরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’

এদিকে দ্বাদশ দিনের মতো আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ডে ভিসির নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর অপকর্মের চিত্র তুলে ধরছেন। যার মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার নির্মাণে এখন পর্যন্ত দেড় কোটি টাকার ওপরে খরচ হলেও শহিদ মিনার নির্মাণে বাস্তব অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ৬৮.৪৮ শতাংশ। এছাড়া জয়বাংলা চত্বরে রোপণ করা একটি বৃক্ষের ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে ৬ লাখ টাকা, যার প্রকৃত ক্রয়মূল্য ৭০ হাজার টাকা দেখাচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর