স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসারকে অব্যহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার,২৩ অক্টোবর ২০১৯:
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসারকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডি হোয়াইট হল কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। আমরা আওয়ামী লীগকে একটি নতুন মডেলে সাজাতে যাচ্ছি। নেত্রী আমাকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে দলে স্থান দেওয়া যাবে না। যদি কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি দলে অনুপ্রবেশ করে থাকে, তাহলে আপনারা তাকে দল থেকে বের করে দিন। আওয়ামী লীগের লোকের অভাব নেই। বিতর্কিত কোনো ব্যক্তির দলে দরকার নেই।
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য, নিজেদের সামর্থক বাড়ানোর জন্য দলে অনুপ্রবেশ করাবেন না। দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির জনপ্রিয়তার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ৭৫ পরবর্তীকালে তিনি এখন পর্যন্ত সবথেকে জনপ্রিয় নেতা। তিনি শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মন জয় করেছেন। বিএনপি এ নিয়ে বিষোদগার করছে, কারণ শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান তাদের আন্দোলনের ইস্যু খুঁজে পাওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুদ্ধি অভিযান বিরোধী দলের রাজনীতির উপর সংকটের কালো ছায়া ফেলেছে দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এটি তাদের গাত্রদাহের কারণ। তারা জানে এখন আন্দোলন করার মতো কোনো ইস্যু তারা পাবে না। হালে পানি পাবে না জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। তাই তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আবরার হত্যাকাণ্ডের মধ্যেও তারা ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করেছে। তাদের সে অপচেষ্টাও মাঠে মারা গেছে।
তিনি বলেন, এখন তারা বলছে ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেই তারা চাঙ্গা হয়ে যাবে! আমি একটা জিনিস বুঝলাম না, যারা তাদের নেত্রীর কারাবরণের পর পাঁচ হাজার লোক নিয়ে একটা আন্দোলন করতে পারল না, কামাল হোসেন সাহেব দেখা করলেই কিভাবে চাঙ্গা হয়ে যাবে! এটা হাস্যকর।
একাদশ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক জোট ১৪ দলের অন্যতম শরীক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, রাশেদ খান মেনন তার বক্তব্য থেকে অলরেডি ইউটার্ন নিয়েছেন। তিনি বলেছেন তার বক্তব্য খণ্ডিত আকারে গণমাধ্যমে এসেছে। তার দলে তার অবস্থান এবং চলমান পরিস্থিতিতে তার অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা আমার সমীচীন নয়। ১৪ দলের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে, তারা আমাকে বলেছেন রাশেদ খান মেননের বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন। আলাপ-আলোচনা আরও আলাপ-আলোচনা করে তার বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। একজন ব্যক্তির (মেনন) জন্য একটা অ্যালায়েন্স ভাঙ্গন হতে পারেনা বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
একই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নেতৃত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই সফলতার ধারাকে অব্যহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে তিনি আহবান জানান।