October 30, 2025, 3:30 am

যমুনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ঝুঁকিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

Reporter Name 135 View
Update : Sunday, November 10, 2019

বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ী ইউনিয়নে যমুনা নদীর শহড়াবাড়ী ঘাট ও চুনিয়াপাড়া এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের দাপটে ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ। এছাড়া প্রতিদিন শত শত বালু পরিবহনকারী ট্রাকের ধুলাবালিতে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন ভাঙন কবলিত এলাকার হাজারো মানুষ। তবে এসব বিষয়ে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে যমুনা নদী। প্রতিবছর নদী ভাঙনের কারণে হাজার হাজার একর আবাদি জমি ও শতশত পরিবারের বাড়িঘর ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়েছে। এ কারণে যমুনার ভাঙন ঠেকাতে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের শহড়াবাড়ী ঘাট এলাকা থেকে ভুতবাড়ী গ্রাম পর্যন্ত প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ করেছে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ওই প্রকল্পের শহড়াবাড়ী ঘাটের দক্ষিন পাশে যমুনায় ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে প্রায় দুই কোটি টাকার বালু উত্তোলন করেন ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হযরত আলী ও ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল আলম। বালু উত্তোলনের কারনে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে ডেবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের পর গত দুই মাস আগে ধুনট উপজেলা কমিশনার (ভূমি) জিন্নাত রেহেনা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই বালু নিলামের ঘোষণা করেন। পরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নিলামে অংশ নিয়ে দুই কোটি টাকার বালু মাত্র ১০ লাখ টাকা ক্রয় করেন হয়রত আলী ও মাহমুদুল।

শুধু হযরত আলী ও মাহমুদুলই নয়, তাদের মতো একইভাবে প্রায় দুই কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন চুনিয়াপাড়াগ্রামের কাদের মন্ডলের ছেলে ও ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি সুমন মন্ডল। তিনিও সরকারি প্রকল্পের ক্ষতি করে বালু ব্যবসা করে যাচ্ছেন।

বালু ব্যবসায়ী হযরত আলী ও সুমন মন্ডল জানান, সব কিছু ম্যানেজ করেই বালু ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এতে কোন ক্ষতি হচ্ছে না বলে দাবি করেন তারা।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা জানান, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বালু ব্যবসায়ীদের কারণে সরকারি কোন প্রকল্পের ক্ষতি হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর