সৌদিতে নারীশ্রমিক নির্যাতন বন্ধে সমাবেশ

সৌদি আরবে নারী গৃহশ্রমিক নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা বন্ধ ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে মিছিল-সমাবেশ করেছে কয়েকটি নারী সংগঠন। এ সময় নারী নিরাপত্তাসহ কয়েকটি দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
রোববার প্রগতিশীল নারী সংগঠনগুলোর ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সিপিবি নারী সেল, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, শ্রমজীবী নারী মৈত্রী, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র, নারী সংহতি, বিপ্লবী নারী ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।
সমাবেশে নারী নেত্রীরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে নারী গৃহশ্রমিকদের নির্যাতনের খবর নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন। এ বছর জানুয়ারি থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮ মাসে ৮৫০ জন নারী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে এসেছেন।
এর মধ্যে আগস্টের ১ দিনেই ১০৯ জন ফিরেছেন। নির্যাতনের অভিযোগে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন সৌদিতে গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দিলে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে সৌদি আরব। এরপর থেকে গত জুলাই মাস পর্যন্ত ৩ লাখ নারী কর্মী গেছেন সৌদি আরবে। দুই বছরের চুক্তিতে এসব নারী মাসে বেতন পান মাত্র ১৭ হাজার টাকা।
তারা বলেন, চুক্তি অনুযায়ী নারী কর্মীদের বিনা খরচে সৌদি আরব যাওয়ার কথা; কিন্তু দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা লেগেছে সৌদি আরব যেতে। তারা সেখানে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, মৃত্যুও হচ্ছে অনেকের। প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা ও প্রবাসে দূতাবাসগুলো এ বিষয়ে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না।
এমন অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার বিচার যদি হতো তাহলে হয়তো গৃহশ্রমিকরা এমন নির্যাতনের শিকার হতেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে মিছিল করে নারী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবিসহ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- মধ্যপ্রাচ্যের নারী শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা, নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উপযুক্ত মজুরি আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।