September 11, 2025, 11:03 pm

আদালতে জঙ্গির মাথায় ‘আইএসের টুপি’ কিভাবে এলো?

Reporter Name 181 View
Update : Wednesday, November 27, 2019

হলি আর্টিজান মামলার রায়ে আট আসামির মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর সাড়ে ১২টার দিকে এজলাসকক্ষ থেকে আসামিদের একে একে আদালত চত্বরে প্রিজনভ্যানে নিয়ে আসেন পুলিশ সদস্যরা। এসময় প্রত্যেকে ছিলেন স্বাভাবিক, হাস্যোজ্জ্বল। তবে চোখে-মুখে ছিল আস্ফালন।

এসময় আসামিদের আঙুল উঁচিয়ে হাসিমুখে আদালতের ভেতর প্রবেশ করতে দেখা যায় এবং মামলার রায় শোনার পর আদালতে দাঁড়িয়ে ‘আল্লাহ আকবর’, ‘নারায়েক তাকবির’ বলে চিৎকারও করেছেন ফাঁসির দণ্ড প্রাপ্ত জঙ্গিরা। তবে এসময়ে একজন আসামির মাথায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর লোগো সম্বলিত একটি টুপি দেখা গেছে। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উপস্থিত সকলের মনে।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌসুলি আবদুল্লাহ আবু মনে করছেন এজলাসে আইএসের প্রতীকবাহী টুপি পরার বিষয়টি তদন্ত করা উচিত।

তিনি নিজেও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, কোথায় পেলেন আসামি এই টুপি?

এর আগে গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ ও নৃশংস জঙ্গি হামলা মামলায় জীবিত ৮ জঙ্গির মধ্যে ৭ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দেয় আদালত। একইসঙ্গে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার অপর আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত বহুল আলোচিত এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হামলার পরিকল্পনাকারী, হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ ও হামলায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, নব্য জেএমবির প্রশিক্ষক ও গুলশান হামলায় জড়িতদের প্রশিক্ষণ ও প্ররোচনাদানকারী রাকিবুল হাসান রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম রাফি ওরফে রিপন ওরফে হাসান ওরফে অন্তর, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন সরদার ওরফে রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, হামলাকারীদের মেস ভাড়া করে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, অর্থ লেনদেন, অস্ত্র-গ্রেনেড সরবরাহ ও হামলায় সহায়তাকারী হাদিসুর রহমান সাগর, হামলার পরিকল্পনাকারী, হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ, প্ররোচনা দেয়া শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও হামলার পরিকল্পনাকারী এবং অস্ত্র সরবরাহকারী মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।

বিচারক রায় ঘোষণার সময় বলেন, ‘আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই হামলা চালানো হয়েছিল। এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তামিম চৌধুরী। এই রায়ে ন্যায়বিচারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে (স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ) হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তারা। নিহতের মধ্যে ৯ জন ইতালিয়ান, ৭ জন জাপানি ও একজন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন।

ওইরাতেই হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর