আবরার হত্যা: বুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী হল থেকে আজীবন বহিষ্কার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুটি হলে র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম থেকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুয়েট প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকাল সোয়া ৫টায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদফতেরর পরিচালক ও বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে আরও ১৭ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও চারজনকে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হল থেকে আজীবন বহিষ্কার হওয়া ৯ শিক্ষার্থীরা হলেন- সাব্যসাচী দাস দিব্য, সৌমিত্র লাহিড়ী, প্লাবন চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, অর্ণব চৌধুরী, মো. ফরহাদ হোসেন, মো. মোবাশ্বের হোসেন শান্ত। এএসএম মাহাদী হাসান ও আকিব হাসান রাফিন।
র্যাগিং বন্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েট কর্তৃপক্ষ এই শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
উল্লেখ্য,গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে মারা যান বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। নিহত ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা রোডে। বাবার নাম বরকত উল্লাহ।
বুয়েটের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রাত ৮টার দিকে তাকে শেরে বাংলা হলের ১ হাজার ১১ নম্বর কক্ষ থেকে আবরারকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ২ হাজার ১১ নম্বর রুমে নিয়ে তাকে পেটানো হয়।