“রাজনীতিবিদদের পত্রিকা প্রকাশের অসুস্থ প্রতিযোগিতা রাজনীতির জন্য খারাপ”

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বলেছেন, “রাজনীতিবিদদের অনলাইন পত্রিকা করার অসুস্থ প্রতিযোগিতা রাজনীতির জন্য খারাপ।”
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, “স্থানীয়ভাবে দেখা যায় সবারই একটা করে পত্রিকা আছে। খোঁজ নিয়ে দেখবেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদের প্রায় সবারই একটা করে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে পত্রিকা আছে। অন্ততপক্ষে অনলাইন আছে। কারণ এটা করতে বেশি কিছু লাগে না। অমুক তমুককে বলে করা যায়।”
“আমার মনে হয় এটা একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এটা রাজনীতি ও সাংবাদিকতার জন্য খারাপ। ধরে নিলাম রাজনীতিবিদরা বুঝতে পারছে না যে এটা খারাপ। সাংবাদিকরা যদি বুঝে থাকেন তাহলে তাদের উচিত হবে এটা থেকে বিরত থাকা। কারণ ওখানে আপনার চাকরি, ইনক্রিমেন্ট, বেতন নির্ভর করছে সেখানে যে প্রতিদ্বন্দ্বী কয়েকজন রাজনীতিবিদ আছে তার ওপর। আপনি যদি শুধু আপনার নিয়োগকর্তার স্বার্থের কথাই বলেন আর বাকি সবার সমালোচনা করেন তাহলে আপনার চাকরি আর বেতন নিরাপদ থাকবে। এটা কোনও পেশার মানদণ্ড হতে পারে না।”
মিডিয়াকে যার যার নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের ব্যবহার করা হয় এমন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যে কথাগুলো আমরা আজ থেকে ১০ বছর আগেও ভাবতাম না, সেগুলো কিন্তু এখন প্রতিনিয়ত দরজায় কড়া নাড়ছে। আমরা দেখছি বেশ কিছু মিডিয়া হাউজ সাংবাদিকদের বেতন সময়মতো দিতে পারছে না। একটি রাষ্ট্র যখন নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয় এবং উন্নত দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যায় সেদেশে শুধুমাত্র রফতানিমুখি পণ্যের বাজারের কর্মপরিবেশ আইএলও’র মানদণ্ডে হবে তা কিন্তু নয়। সাংবাদিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী ভাইবোনদের জন্য একই মানদণ্ড থাকতে হবে।”
“বাংলাদেশে সব শ্রমজীবী মানুষকে এইসব মানদণ্ডের ভেতরে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা দেখেছি মিডিয়াকে যার যার নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে ব্যবহার করা হয়।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।