বেগম খালেদার মুক্তি আদায় করতে হবে: আলাল

আপনা আপনি কেউ বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিবে না তা আদায় করে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এলডিপির উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সু-চিকিৎসার দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আলাল বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না। আর বেগম খালেদা জিয়া যতদিন না মুক্তি পাবেন ততদিন গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। এ সমীকরণ সমান্তরালভাবে চলছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, এই শেখ হাসিনার সরকার গত ১০/ ১১ বছরের বিএনপি’র প্রায় ৩৬ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছে। ৩৬ লাখকে ৩ দিয়ে গুণ করলে দেখবেন দেড় কোটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে। মানে হচ্ছে প্রতিটি পরিবারের অন্তত তিনজন মামলা-হামলার শিকার। এই দেড় কোটি মানুষ রাস্তায় নামলে শেখ হাসিনার গুরু-শিষ্য চেলা কেউ থামাতে পারবে না। আমরা সেটা কখন করব? কিভাবে করব? কি প্রস্তুতি রয়েছে? আমাদের সাধারণ নেতাকর্মীরা সেই জিনিসটাই জানতে চায়। এই কারণে ক্ষোভের মধ্যে তারা বলেন এই ছোট ঘরে মিটিংয়ে আলোচনা সভা করে কোন লাভ নাই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ একটি গানের কথা খুব মনে পড়ে, যে রাতের চেয়েও অন্ধকার, অতি সূর্য নাকি স্বপনের চিতা, অতি পাখির গুনজন নাকি হাহাকার। আজ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনের মধ্যে এই গানের কলি উচ্চারিত হচ্ছে বারবার। তারা যে আশা করে আছে এই দেশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে সেখান থেকে প্রতিবাদ হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, এক মন্ত্রী বলেছেন পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি হয়েছে তাহলে চাল-আটা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য দাম বেড়েছে সেগুলোর কথা কোন মন্ত্রী বলবেন। এই মন্ত্রীরা কখন যে কি বলে তার ঠিক নাই।
বর্তমান সরকারের মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে আলাল বলেন, আপনারা পদত্যাগ করবেন না। আপনাদের পদত্যাগ করাতে হলে জনগণকে রাস্তায় নামাতে হবে। তারপরও আপনারা দরখাস্ত দিবেন কিন্তু পদত্যাগ করবেন না।
আলাল বলেন, আওয়ামী লীগের বড় বড় মন্ত্রীরা বলেন বিএনপির আইনজীবীরা আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা তো বলি নাই আমরা আইনের ঊর্ধ্বে। আইনের ঊর্ধ্বে তো আপনারা। আপনারা আদালতের বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন লাঠি হাতে নিয়ে। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন নাসিম তিনি বলেছিলেন কিভাবে লাঠি মারতে হয় আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে শুধু তাই নয় এই বিচারপতির এজলাস ভাঙচুর করেছিলেন আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা। যে খসরুজ্জামান বিচারপতির এজলাস ভাঙচুরের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে আবার বিচারপতি বানিয়েছে এই আওয়ামী লীগ সরকার। এই নির্লজ্জদের মুখে আইনের কথা শোভা পায় না।
এলডিপির আহবায়ক আব্দুল করিম আব্বাসির সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, সংগঠনের সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।