অগ্নিগর্ভার মধ্যেই ‘ভারত বাঁচাও’ বিক্ষোভের ডাক দিল কংগ্রেস

চরম বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন বিল-সিএবি’ পাস হওয়ার দিন থেকেই ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গোটা ভারত। প্রথমে কারফিউ ভেঙে উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসাম ও ত্রিপুরায় প্রতিবাদের পর এখন তা ছড়িয়ে গেছে অন্যান্য রাজ্যেও। আগুন জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় রাস্তায়।
এমন পরিস্থিতিতে এবার ‘ভারত বাঁচাও’ বিক্ষোভের ডাক দিল কংগ্রেস। রাজধানী দিল্লিতে একটি বিশাল জনসমাবেশ করবে দলটি। এতে অংশ নিবেন সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিং এবং রাহুল গান্ধীসহ শীর্ষ নেতারা।
দলীয় শক্তি প্রদর্শনের জন্য দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে কংগ্রেসের রাজ্য শাখাগুলোকে কর্মীদের এই জনসভায় পাঠাতেও বলা হয়েছে। রাজধানীর রামলীলা ময়দানে কমপক্ষে এক লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে বলেই আশা।
এছাড়াও ভারতকে বিভেদ, ঔদ্ধত্য এবং অক্ষমতা থেকে বাঁচানোর জন্য বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভের পরিকল্পনাও করছে দলটি। কংগ্রেসের বিদেশের শাখাগুলোও বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশে যোগ দেবে বলেই জানিয়েছে এই দল।
এর আগে আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে কারফিউ ভেঙে মানুষ যখন রাস্তায় নেমে আসে তখন পশ্চিমবঙ্গেও সিএবি-এনআরসি প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এরপর রাজধানী দিল্লিও প্রতিরোধের ডাক দেয়। এরপর একে একে পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়, কেরলের পরে আজ মধ্যপ্রদেশও একই ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাকও দিলেও শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালেই ক্ষোপের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষ। শনিবার সকাল থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় শুরু হয় বিক্ষোভ, রেল-সড়ক অবরোধ। কোথাও আবার বাস-গাড়িতে ভাঙচুর চালোনোর মতো ঘটনা ঘটছে। বিক্ষোভ ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে এখনও থমথমে আসাম। বিলটি পাস হওয়ার পরই কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে লাখো জনতা। এতে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৫ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। রাজধানী গুয়াহাটিতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। নিরাপত্তার কারণে ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে।