রেললাইনের হকার্স মার্কেটে উষ্ণতার খোঁজে ভিড়!
উত্তরাঞ্চলে শৈতপ্রবাহ শেষে বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তিন-চারদিনের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে শীতের দাপট। এর মধ্যে নওগাঁ জেলার সান্তাহারের ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে হকার্স মার্কেট আবারও চাঙা হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পছন্দের গরম কাপড় কেনার জন্য ক্রেতারা সেখানে ভিড় করছেন। তবে গত কয়েকদিন শীতের তীব্রতার সঙ্গে কমে গিয়েছিল শীতের কাপড় বিক্রি। আবারও পা ফেলার জায়গা নেই মার্কেটে। বিক্রি বেড়ে গেছে কয়েকগুন।
জানা গেছে, সান্তাহার জংশন রেলওয়ে স্টেশনের রেলগেইট সংলগ্ন স্বাধীনতা মঞ্চের পাশে প্রায় ৩০ বছর আগে গড়ে ওঠে এই হকার্স মার্কেটটি। এই মার্কেটে মূলত সকল বয়সের মানুষের জন্য দেশি-বিদেশি ব্লেজার, জ্যাকেট, কোট, কম্বলসহ সকল প্রকারের গরম কাপড় সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। বেছে বেছে নিজেদের পছন্দ মতো কাপড় কেনার জন্য শীত মৌসুমে হাজার হাজার মানুষ এখানে গরম কাপড় কেনার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসেন। গরম কাপড় কেনার জন্য সমাজের সকল প্রকারের মানুষ প্রতিদিন ভিড় করেন এই মার্কেটে। তবে বিগত মৌসুমের চেয়ে ব্যবসা এ বছর ভালো হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
মার্কেটে কাপড় কিনতে আসা গোলাম রব্বানী দুলাল বলেন এই মার্কেট গরীবের মার্কেট হিসেবে পরিচিত। এখানে সকল প্রকারের মানুষ তার পছন্দ মতো গরম কাপড় কিনতে পারেন। কাপড়গুলোর দাম হাতের নাগালে থাকায় সবাই সাধ্যমতো গরম কাপড় কিনতে পারেন। এবছর শীত একটু আগে চলে আসার কারণে আমিও এসেছি নতুন কিছু গরম কাপড় কেনার জন্য।
জেলার আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা গ্রাম থেকে আসা আরেক ক্রেতা কোহিনুর আক্তার বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। আমাদের আয় কম। বড় বড় দামি মার্কেট থেকে বেশি দামে পরিবারের সদস্যদের জন্য গরম কাপড় কেনা সম্ভব নয়। তাই প্রতিবছরই শীতের মধ্যে সুযোগ করে এই মার্কেটে শীতের গরম কাপড় কেনার জন্য আসি। এখানে কম দামে নিজের পছন্দ মতো মান সম্পন্ন গরম কাপড় কেনা যায়। এবার শীত আগে আসায় আমরাও একটু আগেই এখানে কাপড় কেনার জন্য এসেছি।
মার্কেটের দোকানদার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন এই মার্কেটটি শীতের কয়েক মাস খোলা থাকে। তবে এবার শীতের তীব্রতা একটু আগে শুরু হওয়ায় বিক্রি অনেকটাই জমে উঠেছে। আর কিছুদিন এই শীত অব্যাহত থাকলে আমাদের বিক্রি অনেকটাই ভালো হবে বলে আশা করছি।
সান্তাহার রেলওয়ে হকার্স মার্কেট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নুর ইসলাম বলেন, এটি এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী মার্কেট। আমরা শীতের সময় আশেপাশের সকল জেলা ও উপজেলার হাটে এই মার্কেটের গরম কাপড় বিক্রি করে আসছি। তবে এবার বিক্রি খুব ভালো হচ্ছে। ক্রেতাদের নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।








