বরিশাল শেবাচিমে আরও ৩ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত

বরিশাল:
বরিশালে ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পজেটিভ চিহ্নত হয়েছে। চিহ্নিতদের মধ্যে একজন শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন-২ ইউনিটের মেডিকেল অফিসার ও অপর দুজন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। ইন্টার্ন দুজন ১৬ এপ্রিল আক্রান্ত শনাক্ত হওয়া মেডিকেল কলেজ ছাত্রর রুমমেট ছিলেন।
এছাড়া (১৮ এপ্রিল) শনিবার আক্রান্ত হওয়া তিনজন চিকিৎসকসহ বরিশাল জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার আক্রান্ত হওয়া শেবামেক ছাত্র লকডাউন উপেক্ষা করে বরিশালে এসে শেবামেকের ২ নম্বর ছাত্রাবাসে ওঠেন। সেখানে দু’দিন অবস্থানের পরে তার কোভিট-১৯ পরীক্ষা করানো হলে সেখানে রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
একারণে তার রুমমেট ও দুই ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য শেবামেকের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এদের মধ্য তিন জনের শরীরেই করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এদের তিনজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অপরদিকে শুক্রবার করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়া ছাত্রকে শনিবার ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া মেডিকেল কলেজের ২ নম্বর হোস্টেলে থাকা সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেবামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীত ভূষণ দাস।
এ তিনজনসহ বরিশাল জেলায় ৫জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে আসা চিকিৎসকসহ অন্যদের পরীক্ষা করানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বরিশাল জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসন এসএম অজিয়র রহমান জানিয়েছেন, ১২ই এপ্রিল থেকে বরিশালের বাকেরগঞ্জ ও মেহেন্দিগঞ্জে একজন করে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
পর্যায়ক্রমে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৮ জন, গৌরনদীতে ৩ জন, হিজলা ও মুলাদী উপজেলায় ১ জন করে এবং শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ১ জন নার্স ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের একজন শিক্ষার্থী হাসাপাতালের তিনজন ইন্টার্নসহ ২০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া বরিশালের মুলাদীতে একজন ঘের শ্রমিক করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে সেখানে করোনা পজেটিভ আসে।