November 12, 2025, 5:21 am

সিদ্ধান্ত নিয়েছি শিক্ষার্থীদের আমরা ১ হাজার করে টাকা দেব: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Reporter Name 163 View
Update : Friday, September 11, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেহেতু করোনাভাইরাসে সবার জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শিক্ষার্থীদের আমরা ১ হাজার করে টাকা দেব, যাতে করে তারা তাদের কাপড়-চোপড়, টিফিন বক্স ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

করোনাকালে নেয়া সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজগুলো তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ২১টি প্যাকেজে ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি। তা জিডিপির ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এর বাইরেও ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আমার বিশেষ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। প্রতিটি মসজিদ-মাদরাসায় টাকা পাঠিয়েছি। সরকারের প্রণোদনার বাইরেও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, কোনো মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রেখেই আমরা এই ব্যবস্থাটা নিয়েছি। অর্থনীতির চাকাটা যাতে গতিশীল থাকে আর সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় তার জন্য এ ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। কারণ দেশের মানুষের জন্যই আমাদের এই রাজনীতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা চলমান এরই মধ্যে এলো ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। তারপর এলো দীর্ঘমেয়াদি বন্যা। একটার পর একটা আঘাত এসেছে। আমি চেষ্টা করেছি দেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয়। মানুষ যেন কোনো দুর্ভোগ না পোহায়। আল্লাহর রহমতে সেটা আমরা কাটাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রচেষ্টা মানুষের জন্য কাজ আর সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিপদ দেখে ভয়ে হতাশাগ্রস্ত যেন না হয়ে পড়ি। বিপদ আসবে। সেটা আমাকে মোকাবিলা করতে হবে। এর জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা সেই প্রস্তুতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। সেভাবে সার্বিক উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা সাধ্যমতো মানুষের পাশে আছি। মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল তখন করোনাভাইরাস মোকাবিলা, ত্রাণ বিতরণসহ অন্যান্য কাজে যে সব মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা ছিল তারা কাজ করেছে। আমাদের কিছুদিন থমকে যেতে হয়েছিল। সবকিছু প্রায় বন্ধ অবস্থায় ছিল। সব কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেও সরকার কিন্তু বসে থাকেনি। যার কারণে আমরা রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে পেরেছি। এখানে অবশ্য আরেকটা কারণ আছে আমাদের খরচ কমেছে। করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের বিদেশ যাওয়া নেই, বিভিন্ন অনুষ্ঠান নেই। এসব কারণে আমাদের বেশ সাশ্রয় হয়েছে। সেটা আমরা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে পারছি। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাঝখানে কিছুদিন রফতানি একটু থমকে গেলেও আমাদের আমদানি-রফতানি এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে গার্মেন্টসগুলো যা চেয়েছে আমরা সেভাবে দিয়েছি। আমাদের রফতানি যেন ক্যানসেল না করে, যে কারণে অনেক দেশের সরকারপ্রধানের সাথে আমি নিজেও কথা বলেছি।

তিনি বলেন, আমাদের বড় মেগা প্রজেক্টগুলো থমকে গিয়েছিল সেগুলোর কাজ এখন চলমান। ডিজিটাল করে আমরা সরকারি কার্যক্রমগুলো সক্ষম রাখতে পেরেছি। দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর