স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায় শিকার করলেন পুলিশ সদস্য

ডেস্ক রিপোর্ট:
খুলনার তেরখাদায় চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার হওয়া পুলিশ সদস্য রেজাউল করিম (২৩)।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তেরখাদা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মু. শফিকুল ইসলাম বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়নি।
ওই শিশুর বাবা বলেন, পুলিশ কনস্টেবল রেজাউল নাটোরে চাকরি করেন। কিছুদিন আগে ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। আমার মেয়ে রেজাউলের বাড়ির পাশের ঘেরের পাড়ে কদম ফুল পাড়তে যায়। এ সময় ফুল পাড়তে সহায়তার কথা জানান রেজাউল। পরে তিনি ফুঁসলিয়ে মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়ে বাড়িতে এসে তার মাকে সব ঘটনা খুলে বলে।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার রায় বলেন, অভিযুক্ত রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি নাটোর পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত। ওই শিশুকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তেরখাদা উপজেলার মধুপুর এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই শিশু বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ওই দিনই বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় পুলিশ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মোকামপুর গ্রামের রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করে। রেজাউল নাটোর পুলিশ লাইন্সে কর্মরত। সে উপজেলার মধুপুরের আলমগীর শিকদারের ছেলে।