ওয়াইফাই সংযোগের নামে গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও ধারণ; আটক ২

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও এক গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও কৌশলে মোবাইলে ধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রায়পুর সার্কেলের এএসপি স্পীনা রানী প্রামানিক বামনী ইউপির কাজেরদিঘির পাড় বদ্দার গ্রাম থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় রবিবার দুপুরে অভিযান চালিয়র তাদের আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ আটক দুইজনসহ ৪ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের নামে থানায় আইসিটি আইনে মামলা করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- একই গ্রামের মু. আনোয়ার উল্যার ছেলে এরশাদ হোসেন (৪০) ও একই এলাকার মু. আজাদের ছেলে মো. মুরাদ (৩৫)। অন্য দুইজন মতিন ও হানিফ পলাতক রয়েছে।
মামলা এজাহার ও গৃহবধূ জানান, গত ১৫ জুলাই রাতে ওই গৃহবধূ তার নীজ ঘরে পোশাক পরিবর্তন ও চাচাতো দেবরের সাথে পরোকিয়া করছিলো। এ সময় আগে থেকে ওয়াইফাই সংযোগ দেয়ার নামে কাজিরদিঘিরপাড় বাজারের ডিসলাইনের মালিক মুরাদ তার কর্মচারি মতিনকে দিয়ে কৌশলে গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তা সংরক্ষণ করে।
এরপর গত তিনদিন ধরে এরশাদ, মুরাদ, মতিন ও হানিফ গৃহবধূকে অসামাজিক কাজ করার প্রস্তাব দেয়। এতে গৃহবধূ রাজি না হওয়ায় তার নগ্ন ছবি দেখিয়ে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি করলে প্রথম ধাপে তাদের ৮০ হাজার টাকা প্রস্তাব দেয়া হয়। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি বেলাল হোসেনের মধ্যস্থতায় শনিবার রাতে দুই পক্ষকে নিয়ে গোপন বৈঠক করা হয়।
এ সময় ৮০ হাজার টাকায় দুই পক্ষের সমাজতা হয়েছে মর্মে নন জুডিশিয়ালধ সাদা ষ্ট্যাম্পে দস্তখত নেয়ার প্রক্রিয়াধীন বস্তায় চাঁদাবাজরা তাদেরকে দুই লাখ টাকাই দিতে হবে বলে স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়।
রবিবার দুপুরে এএসপির নের্তৃত্বে পুলিশ ওই গৃহবধূর দুই স্বজনকে দিয়ে ফাঁদ পাতে। চাঁদা দেবে বলে ওই দুই বখাটেকে কৌশলে ডেকে আনলে তারা উপস্থিত হলে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করা হয়।
ভিডিওধারনকারি হামছাদি এলাকার বাসিন্দা মতিন জুয়া খেলার সময় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যায়। সেই সঙ্গে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি মেমোরিকার্ডসহ জব্দ করা হয়। তবে ভিডিওটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত এরশাদ, মুরাদ ও আ’লীগ নেতা বেলাল বলেন, আমরা ঘটনা শুনে একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংশার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তা আর হয়নি।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, এএসপি স্যার অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দুইজনকে আটক করেছেন। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। রবিবার রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে চারজনের নামল্লোখ্য করে অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে আইসিটি আইনে মামলা করেছেন।