৯৯৯ এ ফোন করে ফিরে পেলেন ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহ ব্যাগ ! এয়ারপোর্টে ট্রাফিক পুলিশের সাফল্য

রাসেল খান,
জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে হারিয়ে যাওয়া ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহ ব্যাগ ফিরে পেলেন সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাকা সহ ব্যাগ উদ্ধার করেন এয়ারপোর্ট জোনের ট্রাফিক পুলিশ। পরে ব্যাগটির প্রকৃিত মালিককে বুঝিয়ে দেন।
জানা যায়, সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি ব্যাংক থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তলন করে সিএনজি যোগে উত্তরা পাঁচ নম্বর সেক্টরের দুই নম্বর সড়কের ৫৭ বাড়ির সামনে এসে সিএনজি ভাড়া দেন তিনি। সিএনজি চলে যাওয়ার পরে গাড়িতে রাখা তার কাধেঁ ব্যাগের কথা মনে পরে। ততক্ষনে সিএনজি চলে গেছে অনেক দুর। গতানুগতিকভাবে সিএনজি নম্বরটাও দেখে রাখতে পারেনি সাইফুল ইসলাম।
পরে দ্রুত ৯৯৯ এ কল করে জানান হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ এবং টাকার কথা এবং দুটি বিষয় নিশ্চিত করে ১. সিলভার রং এর প্রাইভেট সিএনজি ২. ড্রাইভারের পরনে হলদে রং এর শার্ট। ৯৯৯ থেকে বিস্তারিত তথ্য পৌছে যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোলের মাধ্যমে সকল ক্রাইম ও ট্রাফিক ডিভিশনে। ঘটনা যেহেতু উত্তরা ডিভিশনে তাই ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়।
ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের সকল জোন চেকপোস্ট শুরু করে। ফলশ্রুতিতে চেকপোস্ট শুরু হয় এয়ারপোর্ট গোলচত্তর সংলগ্ন এলাকায়।
প্রতিটি সিলভার রং এর প্রাইভেট সিএনজি চেক করা হতে থাকে। আর টিআই খাদেমুল ইসলামের নেতৃত্বে সার্জেন্টদের সতর্ক দৃষ্টি খুজতে থাকে কাঙ্ক্ষিত হলুদ শার্ট। আনুমানিক ১৬/১৭ টি সিএনজি চেক করার পরে হঠাৎ সার্জেন্ট ইব্রাহিম আর সার্জেন্ট জাকারিয়ার নজরে আসে একটি খালি সিএনজি আর চালকের আসনে বসা ব্যক্তির হলুদ শার্ট। কাঁধ ব্যাগটা পাওয়া যায় গাড়ীর পেছনেই। ইতিমধ্যে ৯৯৯ এর মাধ্যমে সাইফুল সাহেবকে এয়ারপোর্ট ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আসতে বলা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়ে তিনি নিজের ব্যাগ সনাক্ত করেন আর ফিরে পান ব্যাগে থাকা দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা।