শফিকুলের ইশতেহারে ২১ দফা প্রতিশ্রুতি

স্পোর্টস ডেস্ক:
বাফুফে নির্বাচনে এবার কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়েছে বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। যে কারণে নড়েচড়ে বসেছেন তিনি। এবার আর আগের মত ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। যেকারণে কয়দিন আগে ৩৬ দফা শ্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তার জবাবে ২১ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। সভাপতি পদে মনোনয়ন কেনা আরেক প্রার্থী বাদল রায় অবশ্য নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আগেই।
মানিক তার ইশতেহারে তৃণমূলের ফুটবলকে প্রাধান্য দিয়েছেন। জেলা ফুটবল ও ঢাকার সবচেয়ে জুনিয়র স্তরের ফুটবল পাইওনিয়ার লিগ থেকে প্রিমিয়ার লিগ টুর্নামেন্টকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আয়োজন করার জন্য শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে চান তিনি।
তার ইশতেহারে জাতীয় পর্যায়ে প্রতি বছর শেখ জামাল অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ঘরোয়া টুর্নামেন্টের বাস্তবায়নযোগ্য ক্যালেন্ডার কঠোরভাবে মেনে চলারও ঘোষণা করেছেন তিনি।
১৯৮৫ সালে শফিকুল ইসলাম ছিলেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের অধিনায়ক। খেলেছেন মোহামেডানেও। পরে সনদধারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় দলেও।
জাতীয় দল নিয়েও ভাবনা আছে মানিকের ইশতেহারে। তিনি নির্বাচিত হলে জাতীয় দলের ফুটবলারদের বেতন কাঠামো ও ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থা করতে চান। এ ছাড়াও যেকোনো ধরনের আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলেছেন তিনি। তিনি নির্বাচিত হলে ঘরোয়া ফুটবলের ‘ক্যানসার’ পাতানো খেলা চিরতরে বন্ধ করারও ব্যবস্থা নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।