স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ১৪ বছর পর মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
রংপুর নগরীতে কেরোসিন তেল ঢেলে স্ত্রীকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে ১৪ বছর পর স্বামী মোশাররফ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় হত্যায় সহযোগিতা করায় হবিবর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামিদের ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনাল-১ এর বিচারক যাবিদ হোসেন এ রায় দেন।
দীর্ঘ ১৪ বছর আগে সংঘটিত ওই হত্যা মামলার ১১ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে রায় ঘোষণা করা হয়। এতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোশাররফ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৫ অক্টোবর রংপুর নগরীর মন্থনা এলাকায় স্বামী মোশারফ হোসেন যৌতুকের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তার দাদা শ্বশুর হবিবর রহমান মর্জিনাকে জোরপূর্বক আটকে রাখে। মর্জিনার আহাজারি শুনে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করায়। এসময় পুলিশ ও চিকিৎসকদের কাছে স্বামী ও দাদা শ্বশুর কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানান মর্জিনা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে স্বামী মোশাররফ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও সহযোগী দাদা শ্বশুর হবিবর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ উভয়কে ১ লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন বিচারক। একই সাথে স্বামী মোশাররফ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে জারি করে নির্দেশ দেন আদালত।