September 12, 2025, 9:03 am

হাসপাতালে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গিয়ে প্রাণ গেল রোগীর

Reporter Name 198 View
Update : Wednesday, October 14, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দিতে গিয়ে প্রাণ গেল রোগীর। এমন অভিযোগ উঠেছে ফ্রেন্সস্ এ্যাপোলো হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগোষ্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও শহরের মিলননগর আর কে স্টেস্ট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার আব্দুল মোমেনের কন্যা শামিয়া আক্তার (২২) প্রসব জনিত সমস্যা নিয়ে গত ১২ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ফ্রেন্সস্ এ্যাপোলো হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগোষ্টিক সেন্টারে ভর্তি হন। পরে তার সিজারিয়নে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়।

অপরদিকে ওইদিন রাতেই হাসাপাতাল অ্যান্ড ডায়াগোষ্টিক সেন্টারে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপাদিতে গিয়ে রোগীদের প্রতি খেয়াল না দেয়ায় সিজারিয়ন রোগী শামিয়া আক্তার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

রোগীর স্বামী সাদেকুল ইসলাম বলেন বিষয়টি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে বার বার অবগত করা হলেও তারা গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো আমাদের সাথে দূরব্যবহার করেন। রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে পরে ১৩ অক্টোবর বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দিনাজপুরে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনার কারণে আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

একটি সূত্র জানায় ১২ অক্টোবর রাতে ফ্রেন্সস্ এ্যাপোলো হাসপাতাল এন্ড ডায়াগোষ্টিক সেন্টারের ওটি বয় বাসুদেব এবং ম্যানেজার আবুল কাসেম ওই ক্লিনিকের শিক্ষানবীস এক নার্সকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মিমাংশিত হয়।

ওটি বয় বাসুদেব এবং ম্যানেজার আবুল কাসেমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

সিজারিয়ন ডা. আবিদা সুলতানা বলেন আমাকে ১৬ ঘণ্টা পরে জানানো হয়েছে। বিষয়টি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের আরও আগে জানানো উচিত ছিল। এর জন্য ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ দায়ী।

ফ্রেন্সস্ এ্যাপোলো হাসপাতাল এন্ড ডায়াগোষ্টিক সেন্টারের পরিচালক নাজমুল ইসলাম শাহ বলেন ধর্ষণের ঘটনা ক্লিনিকে ঘটেনি। রোগী মারা যাওয়ার বিষয়টিতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় এর জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক দায়ী।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর