September 13, 2025, 4:44 pm

২০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মত্তের মঠ

Reporter Name 130 View
Update : Friday, January 22, 2021

জেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দূরে মত্ত গ্রামে অবস্থিত এই মঠটি। মঠের ৩০০ গজের মধ্যেই রয়েছে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ নোবেল জয়ী ড. অমর্ত্য সেনের বাড়ি। মঠের অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে মাঝে মধ্যে বিদেশ থেকেও দর্শনার্থীরা এখানে ভিড় জমায়। যদিও প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ধ্বংস হচ্ছে ২০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মত্তের এ মঠটি।

জনশ্রুতিতে রয়েছে, ২০০ বছরেরও আগে এ গ্রামে হেমসেন নামে এক অত্যাচারী জমিদার ছিলেন। তার পরগনায় কেউ জুতা পায়ে, ছাতা মাথায় দিয়ে হাটতে পারতেন না। হেমসেন অত্যাচারী হলেও তিনি ছিলেন প্রচণ্ড পিতৃভক্ত। বাবার মৃত্যুর পর তার শেষ কৃত্যস্থলে মঠটি নির্মাণ করে পিতৃভক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি।

নিটল দিঘীর পাড়ে পনের শতাংশ জমির ওপর ২০০ ফুট উঁচু অপরূপ মঠটি নির্মাণে ইরাক থেকে কারিগর আনা হয়েছিল। মঠের ওপরে বসানো হয় পাঁচটি সোনার কলস, যা হেমসেন তার বাবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানস্থলে রেখেছিলেন। সুনিপুণ কারুকার্য আর সুউচ্চ মঠটি তৎকালীণ অবিভক্ত পূর্ব বাংলার বিশাল স্থাপনার নিদর্শন হিসেবে দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। ১৩২৬ সালে আশ্বিন মাসের কোনো এক ঝড়ে মঠটির ওপরের কলসসহ প্রায় ২০ ফুট অংশ ভেঙে নিটল দিঘীতে পড়ে যায়।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মঠটিতে বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের আগমন লক্ষ্য করা যায়। ১৯৬৫-৬৬ সালের দিকে আমেরিকার একদল পর্যটক এই মঠ (প্রথম হেলিকপ্টার অবতরণ) দেখতে এসে মেরামতের আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু এলাকার খ্যাতনামা হিন্দু পরিবার শিশির কুমার দাস গুপ্ত, প্রমোদ চন্দ্র দাস গুপ্তদের ধর্মীয় গোড়ামীর কারণে তা সম্ভব হয়নি। ১৯৭২ সালের দিকে চীনের একদল পর্যটক মঠটি দেখে এর নির্মাণশৈলী নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। সরকারিভাবে মঠটিকে সংরক্ষণ করে এর ঐহিত্য ধরে রাখার দাবি স্থানীয়দের।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর